‘রাজ্যে আইনের শাসন ফেরানো অত্যন্ত জরুরি’! মুখ্যসচিব, DG-র সঙ্গে বৈঠকের পর টুইট রাজ্যপালের

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বারবার সোচ্চার হয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। আবারও একবার রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সরব হলেন। একের পর এক ধর্ষণকাণ্ডে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। একদিকে হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। অন্যদিকে,  মাটিয়া- ইংরেজবাজার-দেগঙ্গা ও বাঁশদ্রোণীতে ধর্ষণের ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে দময়ন্তী সেনকে। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল। এই অবস্থায় এদিন মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডি জি-কে ডেকে পাঠিয়েছিলেন রাজভবনে। 

এদিন নির্দিষ্ট সময়েই মুখ্যসচিব এবং রাজ্য পুলিশের ডি জি রাজভবনে যান। তাঁদের সঙ্গে রাজ্যপালের রাজ্যের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রায় দের ঘণ্টা বৈঠক হয়। এই বৈঠকের পর রাজ্যপাল টুইট করে জানিয়েছেন যে, ‘রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয়েছে। রাজ্যে আইনের শাসন ফেরানো অত্যন্ত জরুরি’।

শুধুমাত্র প্রশাসন এবং পুলিশের শীর্ষ আধিকারিক নন, রাজ্যের আইনশঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও আলোচনায় বসতে চান। এদিন টুইট করে রাজ্যপাল জানিয়েছেন, ‘যেভাবে আদালতের কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে, তা গণতন্ত্রের হত্যার ইঙ্গিত’। পাশাপাশি রাজ্যে সাম্প্রতিক সময়ে যেভাবে নারীদের উপর পাশবিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে, সেই বিষয়ে কথা বলতে চান রাজ্যপাল। মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে সে কথাও উল্লেখ করেছেন জগদীপ ধনখড়। এখানেই শেষ নয়, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির বিষয়টিও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন তিনি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগেও রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজভবনে ডেকে পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তখন তিনি সাতদিনের সময়সীমাও নির্দিষ্ট করে দিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকও করেছিলেন। সেবারও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সেই সাক্ষাতের ভিডিও টুইটারে শেয়ার করেছিলেন রাজ্যপাল।  

এদিকে, রাজ্যপালের মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া আজকের চিঠি নিয়ে ফের একবার তোলপাড় রাজ্য- রাজনীতি। রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি, যেখানে একের পর এক ধর্ষণ, খুন এবং আজকের হাইকোর্টের আইনজীবীদের মধ্যে অশান্তির ঘটনার পর রাজ্যপালের এই চিঠির আলাদা তাৎপর্য আছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।