বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ক্রমশ বেড়েই চলেছে জ্বালানীর মূল্য। এর জেরে মানুষ জেরবার। এদিকে, লাগাতার জ্বালানীর মূল্যবৃদ্ধিকে মাথায় রেখেই, পরিবহণের ক্ষেত্রে তাই ই-বাসের দিকেই ঝুঁকছে রাজ্য সরকার। তাই এবার বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে পিপিপি মডেলে রাস্তায় নামতে চলেছে ই-বাস।
রাজ্য পরিবহন দফতর সূত্রে খবর, আপাতত ৬ টি রুটে চালু করা হচ্ছে এই ই-বাস। এরপরে ধাপে ধাপে এই বাসের সংখ্যা এবং সেই সঙ্গে রুট বাড়ানো হবে। নিউটাউন থেকে শহরের মূল প্রান্তে যাওয়ার জন্য বাসের যোগাযোগ অনেকটাই কম বলে অভিযোগ করেন সাধারণ যাত্রীরা। তাছাড়া জ্বালানীর মূল্যবৃদ্ধির কারণে ধাপে ধাপে বেসরকারি বাসের সংখ্যাও কমে যাওয়ায় অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তাই এবার চালু করে দেওয়া হল ওয়েই ই-বাস। জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে ৬ টি রুটে চলবে এই ই-বাস। এই ৬ টি রুটের মধ্যে রয়েছে পার্ক সার্কাস, সাপুরজি থেকে হাওড়া, সাপুরজি থেকে মহেশতলা, ইকো-স্পেস থেকে সাঁতরাগাছি, ইকো-স্পেস থেকে বাঙ্গুর, সাপুরজি থেকে এয়ারপোর্ট।
এরপর আস্তে আস্তে নতুন রুটে আরও ই-বাস যুক্ত করা হবে। উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকারের ভারী শিল্প মন্ত্রকের দ্বিতীয় দফার ফাস্টার অ্যাডপশন অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং অফ ইলেকট্রিক ভেহিকেলস বা ফেম প্রকল্পের আওতায় এই বাস দেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, বাসের চালক ও পরিকাঠামো নিয়ন্ত্রণ করবে বেসরকারি সংস্থা। যদিও বাসে কন্ডাক্টর থাকবে রাজ্য পরিবহন নিগমের মতোই। বাসের প্রতিদিন টিকিট বিক্রির টাকা কন্ডাক্টর জমা দেবেন রাজ্য পরিবহন দফতরে। এছাড়াও মাসে কমপক্ষে ৫০০০ কিলোমিটার চালাতে হবে এই বাস।
এই ই-বাস পরিষেবা সংক্রান্ত যে বিশেষজ্ঞ কমিটি আছে, তাঁরা বাস চালানোর খরচ প্রত্যেক মাসে ঠিক করেছেন কিমি প্রতি ৮৬ টাকা করে। ফলে বাস পিছু রাজ্য পরিবহন নিগম বেসরকারি সংস্থাকে দেব কমপক্ষে ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা। যদি বাস চালিয়ে সেই খরচ না ওঠে, তাহলে রাজ্যকেই সেই টাকা দিতে হবে। ঠিক হয়েছে ৯ ও ১২ মিটারের বাস রাস্তায় নামান হবে। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের ঠিক করে দেওয়া ভাড়াতেই আগামী ১০ বছর চলবে এই বাস।
অন্যদিকে, সূত্রের খবর, এপ্রিলেই এই বাস নিউটাউনের রাস্তায় নামবে। কারণ, নিউটাউনে ই-বাস চার্জ করার পরিকাঠামো আছে। তাই বাস চালাতে অসুবিধা হবে না বলেই জানিয়েছেন আধিকারিকরা।
আপনার মতামত লিখুন :