রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

‘কিছু করেই বাঁচানো যাবে না, দিল্লির চা খেতে হবেই’! কেষ্টকে নিয়ে বিস্ফোরক দিলীপ

মৌসুমী

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৮, ২০২২, ০৯:৪৪ এএম | আপডেট: ডিসেম্বর ২৮, ২০২২, ০৩:৪৪ পিএম

‘কিছু করেই বাঁচানো যাবে না, দিল্লির চা খেতে হবেই’! কেষ্টকে নিয়ে বিস্ফোরক দিলীপ
‘কিছু করেই বাঁচানো যাবে না, দিল্লির চা খেতে হবেই’! কেষ্টকে নিয়ে বিস্ফোরক দিলীপ

ইতিমধ্যেই অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার জন্য ইডিকে সম্মতি দিয়েছে রাউস এভিনিউ আদালত। তবে দুবরাজপুরের একটি মামলায় ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়ায় এখন দিল্লি যাত্রা স্থগিত রয়েছে তাঁর। এবার এই নিয়েই মুখ খুললেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়, অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লী যেতেই হবে।

এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন,"সার্বিকভাবেই রাজ্যে যেটা দেখা যাচ্ছে, কখনও নেতাকে বাঁচাতে ব্যস্ত পুলিশ, এখন তৃণমূলের গোটা দলটাই বাঁচিয়ে চলেছে পুলিশ। রাতারাতি এফআইআর, আদালত থেকে পুলিশ হেফাজত এখন জামিন - সবটাই নেক্সাস হিসেবে চলছে। তবে এত কিছু করেও বাঁচানো যাবে না অনুব্রতকে। ইডি দিল্লি নিয়ে যাবেই। দিল্লির চা খেতেই হবে"।

প্রসঙ্গত, অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলায় আপাতত বীরভূমে পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। এই পরিস্থিতিতে আগামী ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত তাকে দিল্লি নিয়ে যেতে পারবে না ইডি। এমনটাই নির্দেশ দিল দিল্লি হাইকোর্ট। রাউস এভিনিউ আদালতের নির্দেশের উপর এমনই স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছে। আপাতত নয় জানুয়ারি পর্যন্ত কার্যত স্বস্তি বীরভূম জেলার তৃণমূল সভাপতির।পরবর্তী শুনানি ৯ জানুয়ারি হবে বলে জানিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। আপাতত ১৯ দিন তাঁকে দিল্লি নিয়ে যেতে পারবে না ইডি।

এদিকে ইডি দাবি করেছে,  অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তাতে ঘটনা কোন সময়ে ঘটেছে, তার স্পষ্ট উল্লেখ নেই। অনুব্রত মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্টে যাবে বলেও উল্লেখ করেছে ইডি। ইডির আইনজীবী বলেন, ‘আমরা অনুব্রত মণ্ডলকে গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার করেছিলাম। আমাদের একটা মামলা দিল্লি হাইকোর্টে চলছে। ১৯ তারিখে অর্থাৎ আমরা যেদিন অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম, সেদিনই অন্য একটি মামলায় তাঁকে এখানে গ্রেফতার করা হল। আমরা মনে করছি পুরোটাই অনুব্রত মণ্ডলের দিল্লি যাত্রাকে আটকানোর প্রচেষ্টা করা হচ্ছে এবং তার এই গ্রেফতারির ঘটনাটি পুরোটাই সাজানো। আমাদের এটা খুঁজে বের করতে হবে এর পিছনে কারা রয়েছে। এফআইআর কপি না পেলে এর পিছনে করা রয়েছে তা আমরা জানতে পারব না।"