বরাবরই পরিবারকে সম্পূর্ণভাবে সমর্থন করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন ফের একবার তার মুখে শোনা গেল বাড়ির বউদের প্রশংসা। নজরুল মঞ্চ থেকে হঠাৎই পারিবারিক জীবন নিয়ে আলোচনা শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই তোলেন পারিবারিক প্রসঙ্গ।
সেদিন মুখ্যমন্ত্রী ইন্ডিয়ার রাজনৈতিক জীবনের লড়াইয়ের কথা বলতে গিয়ে জানান, "আমাদের পরিবার অনেক বড় পরিবার। এখন সকলের পরিবারই বড় হয়েছে। কেউই আজ এক জায়গায় থাকেন না। সবাই নিজের মতো করে। তিনটে প্রজন্ম তৈরি হয়ে গিয়েছে। তারা নিজের নিজের মতো দাঁড়িয়েছে। আমার কাউকে সহযোগিতাও করতে হয় না। আর কারও আমাকেও সাহায্য করতে হয় না।” এ কথার রেশ ধরেই বাড়ির বউদের কথা উঠে আসে মমতার মুখে।
এদিন মমতার কথায় উঠে এসেছে পরিবারের অন্য সদস্যদের কথাও। তৃণমূল নেত্রী এদিন গল্পের ছলে বলেন, “লোকে বলে বাড়ির বউরা এটা চায়, ওটা চায়, আমি আমার বাড়ির বউদের প্রশংসা করব। ওদের একটা ক্লিপ কিনে দিলে, পাহাড় থেকে একটা চাদর এনে দিলে খুশি। পুজোর সময় একটা শাড়ি দিলে মুখটা জ্বলজ্বল করে।” তিনি আরও বলেন, পরিবার এখন ছোট হয়েছে। সবাই নিজেরা নিজেদের মতো থাকে। সকলে নিজেদের জায়গায় সফল। অনুষ্ঠানের দিন দেখা হয় সকলের সঙ্গে। আনন্দে থাকি।”
বারবারই মুখ্যমন্ত্রীর আয় এবং তার বই বিক্রি ও ছবি বিক্রি নিয়ে কটাক্ষ করেন বিরোধীরা। এদিন সেই কটাক্ষেরও জবাব দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, "আমি সাতবারের সাংসদ। আমাকে চুরি কেন করতে হবে? এক লাখ টাকার বেশি আমার পেনশন। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সব কিছু মিলিয়ে দেড় লাখ টাকা। সব মিলিয়ে মাসে আড়াই লাখ টাকা পেনশন। ১১ বছর ধরে কত টাকা হয় হিসেবে করে নিন। এই আড়াই-তিন কোটি টাকার এক পয়সাও নিইনি।"
আপনার মতামত লিখুন :