নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার কড়া সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা হাইকোর্ট। এবার রাজ্যের তৈরি করে দেওয়া সিটের সদস্যদের বদলানোর নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এসএসসি গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি মামলায় সিবিআই এর সিট কেন দেরি করে কাজ করছে সেই প্রশ্ন তুলে সদস্যদের পরিবর্তনের নির্দেশ দিলেন তিনি।
এদিন বিচারপতি দুই আধিকারিককে সরিয়ে সেই জায়গায় নতুন চার আধিকারিককে আনার নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতে উপস্থিত ছিলেন সিটের প্রধান। বিচারপতি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন জানিয়েছেন, ডেপুটি এসপি কে সি রিসিনামোল এবং ইন্সপেক্টর ইমরান আশিককে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই দুজনকেই আর কাজে লাগানো যাবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আরো জানিয়েছেন, দুই অধিকারী কে সরিয়ে তার বদলে আরো চার অফিসারকে সিটের সদস্য হিসেবে আনা হচ্ছে। এদের মধ্যে রয়েছেন অংশুমান সাহা, বিশ্বনাথ চক্রবর্তী, প্রদীপ ত্রিপাঠী, এবং ওয়াসিম আক্রম। এই গোটা মামলার তদন্ত হবে ডিআইজি পদমর্যাদার অফিসারের নেতৃত্বে। নেতৃত্ব দেবেন ডিআইজি অখিলেশ সিং। এই ডিআইজি পদমর্যাদার অফিসার কে কলকাতা থেকে যাতে কোনভাবেই সরানো না হয় সেই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। একইসঙ্গে সাত দিনের মধ্যে তাকে দায়িত্ব নিতে হবে বলেও জানানো হয়েছে।
এদিন সরাসরি সিবিআইয়ের আইনজীবীর কাছে তিনি জানতে চান, গ্রুপ- ডি’র নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত ১৮ ই মে, যে ৫৪২ জন চাকরিপ্রাপককে জিজ্ঞাসাবাদ করার নির্দেশ তিনি দিয়েছিলেন তাদের মধ্যে কতজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা? তাতে সিবিআই জানায়, এখনও পর্যন্ত মাত্র ১৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পেরেছেন তারা।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি মামলায় সিবিআই তদন্তের অগ্রগতিতে ক্ষুব্ধ। আগেও একাধিকবার তদন্তের গতি নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন তিনি। কিন্তু তারপরও সিবিআই তদন্তের গতি আশানুরূপ হয়নি। এরপরেই এদিন এই কড়া নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
আপনার মতামত লিখুন :