শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪

অঙ্কিতার শূন্য পদে চাকরি দিতে হবে ববিতাকে, মন্ত্রীকন্যার প্রাপ্ত বেতনের টাকাও ফেরত দিতে হবে তাঁকে

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: জুন ২৪, ২০২২, ০৪:৩৫ পিএম | আপডেট: জুন ২৪, ২০২২, ১০:৫১ পিএম

অঙ্কিতার শূন্য পদে চাকরি দিতে হবে ববিতাকে, মন্ত্রীকন্যার প্রাপ্ত বেতনের টাকাও ফেরত দিতে হবে তাঁকে
অঙ্কিতার শূন্য পদে চাকরি দিতে হবে ববিতাকে, মন্ত্রীকন্যার প্রাপ্ত বেতনের টাকাও ফেরত দিতে হবে তাঁকে

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার নজিরবিহীন রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন আদালত মন্ত্রীকন্যা অঙ্কিতা অধিকারীরি জায়গায় ববিতা সরকারকে দ্রুত নিয়োগের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এখানেই শেষ নয়, এর সঙ্গে অঙ্কিতার ফেরত দেওয়া বেতনের টাকাও ১৯ দিনের মধ্যে দিতে হবে ববিতাকে। এমনটাই জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। 

সাম্প্রতিকে, রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে চাকরি থেকে নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগে বরখাস্ত করে কলকাতা হাইকোর্ট। এখানেই শেষ নয়, পাশাপাশি এতদিন সে যে টাকা বেতন হিসেবে পেয়েছিল, তাও দুই কিস্তিতে ফেরতের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। ইতিমধ্যেই প্রথম কিস্তির টাকা নির্ধারিত সময়ের আগেই ফেরত দিয়েছেন অঙ্কিতা অধিকারী। এদিন এই মামলার ফের ওঠে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে। তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন যে, ‘ববিতা অধিকারীকে এখনও কেন নিয়োগ করা হল না।’

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৪ ডিসেম্বর এস এস সি পরীক্ষা দিয়েছিলেন ববিতা সরকার। ২০১৭ সালে ২৭ নভেম্বর মেধাতালিকা প্রকাশ হয়। সেখানেই ওয়েটিং লিস্টে নাম ছিল ববিতার। নিয়ম অনুযায়ী, প্যানেল লিস্টে থাকা প্রার্থীদের চাকরির পর ওয়েটিং লিস্টের প্রার্থীদের ডাকা হয়। ববিতার নাম ছিল ওয়েটিং লিস্টের ২০ নম্বরে। কিন্তু দ্বিতীয় কাউন্সেলিংয়ের পর ববিতা হঠাৎই জানতে পারেন যে, তাঁর নাম চলে গিয়েছে ২১ নম্বরে এবং অঙ্কিতা অধিকারীর নাম আগে এসেছে। ববিতা দাবি করেছিলেন, মন্ত্রীকন্যা পরীক্ষায় পেয়েছিলেন ৬১ নম্বর । তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৭৭ । সেক্ষেত্রে তাঁর প্রশ্ন ছিল নম্বর বেশি থাকা সত্ত্বেও কেন তাঁকে নিয়োগ না করে মন্ত্রী কন্যাকে নিয়োগ করা হল? এই বিষয়েই তিনি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। 

সেই মামলায় আগেই চাকরি হারাবার পাশাপাশি নিয়োগের দিন থেকে প্রাপ্ত বেতনের টাকাও ফেরত দিতে হয়েছে অঙ্কিতা অধিকারীকে। এবার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সেই ফেরত বেতনের টাকা দিতে হবে ববিতা সরকারকে। আর এই রায় কার্যত নজিরবিহীন বলেই দাবি করছে অভিজ্ঞমহল।

এদিকে, অঙ্কিতা চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়ার পরেও হতশা কাটছিল না ববিতার। তিনি জানিয়েছিলেন, এই পুরো লড়াই তিনি নিজের চাকরি বাঁচানোর স্বার্থে চালিয়ে গিয়েছিলেন। তাই চাকরি না পেলে সবটাই ব্যর্থ ও অর্থহীন হয়ে যাবে। কিন্তু এবার হাইকোর্টের আজকের রায়ে নিশ্চিতভাবেই স্বস্তি ফিরবে ববিতার। তবে, এই রায় প্রসঙ্গে তিনি এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি।