বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ রাজ্যে শিক্ষা ব্যবস্থায় দুর্নীতির অভিযোগে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। এবার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের অনিয়মের মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে পদ থেকে সরানোর নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামীকালই তাঁকে আদালতে তলব করা হয়েছে।
অন্যদিকে, এই মুহূর্তে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দায়িত্ব থাকবে পর্ষদ সচিব রত্না বাগচির হাতে। এদিন এমন নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, এর আগে আদালতের তরফে ১৭ জুন বোর্ডকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ৬ দফা নথি জমা দিতে। কিন্তুই সেই নির্দেশ অনুযায়ী, এখনও কোনও আবেদনপত্র কোর্টে জমা পড়েনি। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার আদালতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে হাজিরা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁকে বেশ কিছু প্রশ্ন করা হবে নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গে। সেইসব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে তাঁকে। এমনটাই জানিয়েছেন বিচারপতি।
২০১৪ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলায় কিছু নথি চায় আদালত। কিন্তু মূল অভিযোগ যে, এই সব নথি আদালতে পেশ করা হয়নি। এদিন কলকাতা হাইকোর্টে যে নথি দেওয়া হয়েছে, তা ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য দিল্লি পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিন বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন যাবতীয় নথি পাঠাতে হবে সিএফএসএলকে। তার মূল কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, আদালতে দেওয়া নথিতে বোর্ডের দুই কর্তা অভিক মজুমদার এবং ঋত্বিক মল্লিকের সইয়ে কোনও তারিখের উল্লেখ করা নেই। কাজেই এই নথি বিস্তারিত খতিয়ে দেখা হবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। এরপর ২০১৫ সালে টেট পরীক্ষা হয় এবং ২০১৬ পরীক্ষার মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়। এদিকে, তার পরের বছর একটি অ্যাডিশনাল মেধাতালিকা প্রকাশিত হয়েছিল। এই তালিকা নিয়েই অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ ছিল, দ্বিতীয় মেধাতালিকায় অনিয়ম হয়েছে। এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক ব্যক্তি। মামলাকারীর মূল অভিযোগ ছিল, উপযুক্ত নম্বর না পেয়েই অনেকের নাম ওঠে তালিকায়। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই অনেক শিক্ষকের চাকরি বরখাস্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয় আদালত।
এই মামলাতেও কোর্টের নির্দেশ তদন্ত করছে সিবিআই। এবার এই মামলায় আজ আবারও বড় নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এর আগে মানিক ভট্টাচার্যকে তলব করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। গত সোমবারই সিবিআই-এর দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন তিনি। এবার তাঁকে পদ থেকে বরখাস্ত করল আদালত।
আপনার মতামত লিখুন :