শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

হাইকোর্টের রায়ে বিপাকে ঝাড়খণ্ডের তিন বিধায়ক! স্বচ্ছতার সঙ্গে তদন্ত চালানোর অনুমতি CID-কে

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: আগস্ট ৪, ২০২২, ০৫:৩২ পিএম | আপডেট: আগস্ট ৪, ২০২২, ১১:৫২ পিএম

হাইকোর্টের রায়ে বিপাকে ঝাড়খণ্ডের তিন বিধায়ক! স্বচ্ছতার সঙ্গে তদন্ত চালানোর অনুমতি CID-কে
হাইকোর্টের রায়ে বিপাকে ঝাড়খণ্ডের তিন বিধায়ক! স্বচ্ছতার সঙ্গে তদন্ত চালানোর অনুমতি CID-কে / প্রতীকী ছবি

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ঝাড়খণ্ডের তিন বিধায়কের গাড়ি থেকে টাকা উদ্ধারের ঘটনায় তৎপরতার সঙ্গে তদন্ত চালাচ্ছে সিআইডি। উদ্ধার হওয়া টাকার উৎস কী? তা জানার চেষ্টা করছেন রাজ্যের তদন্তকারীরা। একের পর এক অভিযান চলছে। সেই সঙ্গে ধরপাকড়ও জারি আছে। এদিকে, এই বিষয়টি নিয়ে সিআইডি-র তদন্তের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন বিধায়করা। পাশাপাশি এই তদন্তভার কোনও নিরপেক্ষ কেন্দ্রীয় সংস্থা বা সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়ার আরজিও জানিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু হাওড়ার পাঁচলায় লক্ষ লক্ষ টাকা সমেত গ্রেফতার হওয়ার তিন বিধায়কের সেই আরজি এদিন খারিজ করে দিল কলকাতার হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের সেই আবেদনে সায় নেই। 

বৃহস্পতিবার ধৃত তিন বিধায়কের উভয় আরজি খারিজ করে দিয়েছেন বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য। বিচারপতি স্পষ্ট জানিয়েছেন যে, নিরপেক্ষভাবে এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে নিজেদের তদন্তের কাজ চালিয়ে যেতে পারবে সিআইডি। বিচারপতি জানিয়েছেন যে, ধৃত তিন বিধায়কের গ্রেফতারি নিয়ে রাজনৈতিক নেতাদের মন্তব্য এই মামলা হস্তান্তরের জন্য যথেষ্ট নয়। সুপ্রিম কোর্টের একাধিক নির্দেশেই বলা হয়েছে যে, অভিযুক্ত কখনও তদন্তকারী সংস্থা নির্বাচন করতে পারে না নিজে থেকে। বিচারপতি জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের হাওড়ার পাঁচলা থেকে আটক করা হয়েছে। এর ফলে রাজ্য পুলিশের তদন্ত করতে কোনও অসুবিধা নেই। তদন্তের ক্ষেত্রে পুলিশের দিক থেকে যে প্রক্তিয়াগত গাফিলতির অভিযোগ মামলাকারীরা করেছেন, তাও কোনওভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। 

এই মামলায় বিধায়কদের বক্তব্য ছিল, যে অভিযোগ উঠছে, তাতে একাধিক রাজ্যের যোগ রয়েছে। তাহলে সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ কেন এই ঘটনার তদন্ত করবে। এই যুক্তি দেখিয়েই সিআইডি-র বদলে কোনও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে তদন্তভার তুলে দেওয়ার আবেদন করেছিলেন তিন বিধায়ক। কিন্তু এই বিষয়ে আদালত পরিষ্কার জানিয়েছে, যেহেতু অভিযুক্তদের গাড়ি হাওড়ার পাঁচলা থেকে আটক হয়েছে, তাই রাজ্য পুলিশের তদন্ত করতে কোনও অসুবিধা নেই। 

অন্যদিকে, রাজ্যের বক্তব্য ছিল যে, এফআইআর আপলোড করার জন্য ৭২ ঘণ্টার সর্বোচ্চ সময়সীমা নির্ধারিত আছে। সঙ্গে সঙ্গে এফআইআর হয়নি বলে মামলা কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে দিতে হবে, এই যুক্তি মেনে নেওয়া যায় না। 

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত শনিবার, ৩০ জুলাই রাতের দিকে হাওড়ার পাঁচলার কাছে ঝাড়খণ্ডের গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে রাজ্য পুলিশ লক্ষাধিক টাকা উদ্ধার করে। ওই গাড়িতে ছিলেন ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়ক। তাঁরা কেন সেই টাকা নিয়ে এসেছিলেন, কোথায় যাচ্ছিলেন, সেসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে এই মুহূর্তে তদন্ত করছে সিআইডি। সেই তদন্তেই স্থগিতাদেশের আরজি জানিয়েছিলেন তিন বিধায়ক। আজ কলকাতা হাইকোর্ট তাঁদের সেই আরজি খারিজ করে দিয়েছে। যা তাঁদের সমস্যা আরও বাড়াল নিঃসন্দেহে।