বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের গাড়িতে লালবাতি কেন? এই প্রশ্ন তুলে মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলার শুনানিতে এদিন কলকাতা হাইকোর্ট রিপোর্ট তলব করল।
কেন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের গাড়িতে লালবাতি ব্যবহার করা হয়? সোমবার রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে বলা হয়েছে, আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে এই রিপোর্ট জমা দিতে হবে। এখানেই শেষ নয়, রাজ্যে আর কাদের গাড়িতে লালবাতি এবং কালো কাচ ব্যবহার করা হয়, সেই সংক্রান্ত একাধিক তথ্যও চাওয়া হয়েছে আদালতের পক্ষ থেকে।
জানা গিয়েছে, রাজ্যে কারা কারা লালবাতির গাড়ি ব্যবহার করেন, গাড়িতে কালো কাচ ব্যবহারের ক্ষেত্রে কী কী বিধিনিষেধ রয়েছে এবং কারা তাঁদের গাড়িতে কালো কাচ ব্যবহার করেন, রাজ্যে কারা কারা লালবাতি লাগানো গাড়ি এবং কালো কাচ ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছেন—এইসব তথ্যই জানাতে হবে নবান্নকে। তাও আবার আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে।
উল্লেখ্য, জেলা সভাপতি হয়ে কীভাবে এবং কেন লালবাতি লাগানো গাড়িতে চড়েন অনুব্রত মণ্ডল? এই প্রশ্ন তুলে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। বিজেপি যুবনেতা তথা আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি মামলা দায়ের করে প্রশ্ন তোলেন, একজন জেলা সভাপতি কীভাবে লালবাতি লাগানো গাড়ি চড়ছেন? এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে, এর আগে রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরিহাদ হাকিমও বলেছিলেন, অনুব্রত মণ্ডলের কোনও এক্তিয়ার নেই গাড়িতে লালবাতি লাগানোর।
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক সময়ে শুধু নয়, বরাবরই লালবাতি লাগানো গাড়িতে ঘোরেন বীরভূমের তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। সম্প্রতি সিবিআই তলবে সাড়া দিতে যখন কলকাতায় এসেছিলেন, তখনও সেই গাড়িতেই এসেছিলেন। এরপর হাসপাতালে গিয়েছিলেন লালবাতি লাগানো গাড়িতে করেই। সেই থেকেই শুরু হয়েছিল আলোচনা বিষয়টি ঘিরে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছিল যে, অনুব্রত মণ্ডল কি আদৌ লালবাতি লাগানো গাড়িতে চড়তে পারেন? এবার সেই একই প্রশ্ন রাজ্যের কাছে তুলে, তার উত্তর চাইল কলকাতা হাইকোর্ট।
কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রকের নির্দেশ মোতাবেক, কেউই ব্যক্তিগত গাড়িতে লালবাতি ব্যবহারের অনুমতি পান না। এমনকী মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়করাও নন। অ্যাম্বুল্যান্স ও দমকলের গাড়িতে নীলবাতি ব্যবহারের অনুমতি রয়েছে। সেক্ষেত্রে কীভাবে একজন রাজনৈতিক দলের জেলা সভাপতি দীর্ঘদিন ধরে লালবাতি লাগানো গাড়ি চড়ছেন, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।
আপনার মতামত লিখুন :