দীপাবলীর রাতে বাবাকে পিছিয়ে মারার অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছেন সিঁথি থানার অন্তর্গত কেদারনাথ দাস লেনে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
কলকাতার সিঁথি থানার অন্তর্গত কেদারনাথ দাস লেনের বাসিন্দা উৎপল রায় ও তার ছেলে উদ্দীপ্ত রায়। জানা গিয়েছে উৎপল বাবু, পেশায় একজন চার্টার্ড একাউন্টেন্ট। এদিকে ছেলে উদ্দীপ্ত অল্প বয়স থেকেই ছিল নেশায় আসক্ত। নেশার জন্য বাবার কাছে রোজই টাকা চাইতো সে। কিন্তু উৎপল বাবু টাকা দিতে অস্বীকার করলেই অশান্তি সৃষ্টি হতো। এমন কি বাবার গায়ে হাতও তুলতো ছেলে।
গতকাল রাতে প্রায় তিনটে নাগাদ উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হতে হতে বাবাকে মারতে শুরু করে অভিযুক্ত ছেলে উদ্দিপ্ত। সেই সময় অসহায়ের মত চিৎকার করতে থাকেন উৎপল বাবুর স্ত্রী। জানলা দিয়ে প্রতিবেশীদের ডাকতে থাকেন তিনি। একইসঙ্গে বলতে থাকেন, "বাবাকে আর মারিস না মরে যাবে"।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এরপরেই তারা উৎপল ব্যবস্থা স্ত্রীর চিৎকার শুনে তাদের ফ্ল্যাটে আসেন। তিনতলায় উঠে দরজা খুলে দেখেন মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে উৎপল বাবু। পাশে দাঁড়িয়ে আছে স্ত্রী ও ছেলে। এরপর স্থানীয় বাসিন্দারাই ১০০ তে ফোন করে থানায় খবর দেন এবং সঙ্গে সঙ্গে উৎপল বাবুকে আরজিকর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে আশঙ্কা জনক অবস্থায় ভর্তি করা হয় উৎপল রায়কে। আজ সকালে হাসপাতালেই মৃত্যু হয়েছে তার।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, উদ্দীপ্তর সঙ্গে প্রায়ই অশান্তি হতো তার বাবা-মায়ের। একাধিক নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েছিল উদ্দীপ্ত। বিভিন্ন জায়গায় টাকা লাগানো থেকে শুরু করে সেখানে টাকার লোকসান হওয়া তার নিত্য দিনের ঘটনা হয়ে উঠেছিল। এমন কি নেশা মুক্তি কেন্দ্রেও পাঠানো হয়েছিল উদ্দীপ্তকে। কিন্তু সেখান থেকেও পালিয়ে এসেছিল সে।
আপনার মতামত লিখুন :