বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ আগামীকাল, মঙ্গলবার রাজ্য বিজেপির নবান্ন অভিযান। এই অভিযানে পুলিশি অনুমতি মেলেনি। তবে, গেরুয়া শিবির পুলিশকে চ্যালেঞ্জ করেই নবান্ন অভিযান সফল করতে বদ্ধপরিকর। এই পরিস্থিতিতে গেরুয়া শিবিরের মিছিলকে কেন্দ্র করে শহরে যাতে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়, সেজন্য আগাম সতর্কতা নিয়েছে পুলিশ।
উত্তর ও মধ্য কলকাতার একাংশ অ্যালুমিনিয়াম ব্যারিকেড, বাঁশের সিজার ব্যারিকেড ও গার্ডরেল দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। কলেজ স্ট্রিটে ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে। সেই ব্যারিকেড ভেঙে গেরুয়া শিবিরের নেতা, কর্মী এবং সমর্থকেরা মিছিল করলে মামলা দায়ের করবে পুলিশ। জানা গিয়েছে, কলকাতায় রিজার্ভ ফোর্স ছাড়া পুলিশের হাতে আগ্নেয়াস্ত্রর বদলে থাকবে লাঠি।
জানা গিয়েছে, আগামীকাল, মঙ্গলবার হাওড়া ময়দান, সাঁতরাগাছি ও কলেজ কলেজ স্কোয়ার থেকে মিছিল করে নবান্নের দিকে যাবেন বিজেপি কর্মীরা। এমনকী, নবান্নে যখন হঠাৎ করে দলের মহিলা মোর্চার সদস্যরা বিক্ষোভও দেখাতে পারেন বলেই খবর, এই কর্মসূচির জন্য অনুমতি দেয়নি পুলিশ। কিন্তু কেন মেলেনি অনুমতি? হাওড়া সিটি পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘নবান্ন হাই-সিকিউরিটি জোন, ১৪৪ ধারা জারি থাকে। নবান্নের সামনে ৪ জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না।’
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জেলা থেকে কলকাতা আসতে শুরু করেছেন কর্মী-সমর্থকরা। আগামীকাল, মঙ্গলবার হাওড়া ময়দানে বিজেপির মিছিলে নেতৃত্ব দেবেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। অন্যদিকে, সাঁতরাগাছিতে শুভেন্দু অধিকারী, আর কলেজ স্কোয়াড়ে নেতৃত্ব দেবেন দিলীপ ঘোষ। পুলিশের পক্ষ থেকে অনুমতি না মিললেও নবান্ন অভিযান ঘিরে পদ্ম শিবিরের প্রস্তুতি তুঙ্গে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দুর্নীতি ইস্যুতে এখন অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৃণমূলের। এসএসসি দুর্নীতি মামলায় ইডি-র হাতে গ্রেফতার রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আবার গরু পাচারকাণ্ডে এখন জেল হেফাজতে অনুব্রত মণ্ডলও। গরু পাচার মামলায় তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতিকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। শাসকদলের একের পর এক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে। কেন এমন পরিস্থিতি রাজ্যে? বিজেপির দাবি, শাসকদলের অভ্যন্তরে দুর্নীতিটে ছেয়ে গেছে। প্রথমে ৭ সেপ্টেম্বর নবান্ন অভিযানে ডাক দিয়েছিল বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। পরে কর্মসূচির দিন বদলে যায়।
আপনার মতামত লিখুন :