বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ বিস্ফোরক দাবি কুণাল ঘোষের। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে, তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা দলীয় মুখপাত্র কুণাল ঘোষ দাবি করেলেন যে, বিজেপি ছেড়ে নাকি ফের তৃণমূলের ফিরতে চাইছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন তিনি দাবি করেছেন, ‘বিজেপিতে দমবন্ধ হয়ে আসছে শুভেন্দুর। কাঁথি পুরসভায় অধিকারী পরিবারকে সাইনবোর্ড করে দিয়েছে বিজেপি। তাই এবার তৃণমূলে ফিরতে চাইছেন শুভেন্দু।’
তৃণমূলের এই নেতা যখন এমন বিস্ফোরক দাবি করছেন, তখন তাঁর পাশে বসে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া এবং নির্বাচনের পরে ফের তৃণমূলে ফেরা সব্যসাচী দত্ত। বুধবার সল্টলেকে বিধাননগর পুরভোটের প্রচারে যান কুণাল ঘোষ, সঙ্গে ছিলেন সব্যসাচী দত্ত। সেখানেই সাংবাদিক সম্মেলনে এমন দাবি করেন তিনি। এদিন আসন্ন পুরভোটে বিজেপির অবস্থান নিয়ে তীব্র আক্রমণ করেন কুণাল ঘোষ। তখনই শুভেন্দু অধিকারীর তৃণমূলে ফেরার প্রসঙ্গটি তোলেন। তিনি বলেন, ‘সবাই জানেন, বিজেপিকে ভালবেসে দলবদল করেননি শুভেন্দু। গিয়েছিলেন ইডি- সিবিআইয়ের ভয়ে। ওখানে এখন দমবন্ধ হয়ে আসছে তাঁর। তাই এখানে ফিরতে চাইছেন।’ এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও বলেন যে, ‘ওর সঙ্গে আরও যে দু-একজন গেছিল তারাও ফিরতে চাইছে। কিন্তু ফিরতে চাইলেও ফেরানো হবে না ওদের কাউকেই।’
উল্লেখ্য, এবার কাঁথি পুরভোটে অধিকারী পরিবার থেকে কেউ টিকিট পাননি। রাজনৈতিক মহলের মতে, আদি বিজেপির চাপে পড়েই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পদ্ম শিবির। এদিন সাংবাদিকদের সামনে কুণাল ঘোষও এই একই দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ‘তৃণমূলে থাকতে অধিকারী পরিবারের লোকজন মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক ছিলেন। পুরসভার চেয়ারম্যানও ছিলেন অধিকারী পরিবারের সদস্য। কিন্তু এবার আদি বিজেপির চাপেই কাঁথি পুরসভায় অধিকারী পরিবার সাইনবোর্ড হয়ে গিয়েছে।’
উল্লেখ্য, বিধাননগর পুরভোটের প্রচারে সম্প্রতি সব্যসাচী দত্তকে আক্রমণ করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের বিজেপির হার প্রসঙ্গে নাম না করে সব্যসাচীকেই আক্রমণ করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তিনি বলেন, ‘সেই প্রার্থী হিসেব কষে রেখেছিলেন। বিজেপি সরকারে আসছে মনে করে বিজেপিতে গিয়েছিলেন। বিজেপি এখন রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল। আমরা ৩ থেকে ৭৭ হয়েছি। কিন্তু বিজেপি ১৪৮ টি আসন পায়নি। রাজনীতি যাদের পেশা, ব্যবসা, শাসকদের সঙ্গে না থাকলে, কাটমানি না পেলে, তারা বিরোধী দলের রাজনীতি করতে পারে না। তারা মধু খেতে তৃণমূলে ফিরে গেছে।’
এরপর শুভেন্দুর এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতেই পাল্টা আক্রমণ করেছেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘ যাদের কোনো জনভিত্তি নেই,মানুষের সমর্থন নেই, অবসাদ থেকেই এগুলো করছে তারা। সব্যসাচীকে ঈর্ষা করছে। আর শুভেন্দু তো ফিরতেই চাইছে। তাই অবসাদ থেকেই এ সমস্ত বলছে। এই সবে গুরুত্ব দেওয়ার কোনো দরকার নেই।’
অন্যদিকে, এদিন শুভেন্দু অধিকারীর রাজ্যের বিরোধী দলনেতার পদ নিয়েও কটাক্ষ করেন কুণাল। তাঁর মতে, বিজেপিতে থাকা শুভেন্দু অধিকারীর বাধ্যবাধকতা মাত্র। যাইহোক না কেন, এদিন কুণাল ঘোষের দাবি ঘিরে রাজ্য রাজনীতির অন্দরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তবে, এবিষয়ে এখনও পর্যন্ত রাজ্য বিজেপির কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
আপনার মতামত লিখুন :