শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

নভেম্বরেই ফের একগুচ্ছ জনপরিষেবা নিয়ে শুরু হবে ‘দুয়ারে সরকার’ ও ‘পাড়ায় সমাধান’

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২২, ১২:২০ পিএম | আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২২, ০৬:২৯ পিএম

নভেম্বরেই ফের একগুচ্ছ জনপরিষেবা নিয়ে শুরু হবে ‘দুয়ারে সরকার’ ও ‘পাড়ায় সমাধান’
নভেম্বরেই ফের একগুচ্ছ জনপরিষেবা নিয়ে শুরু হবে ‘দুয়ারে সরকার’ ও ‘পাড়ায় সমাধান’

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ আবার দুয়ারে সরকার ক্যাম্প বসতে চলেছে রাজ্যজুড়ে। তবে শুধু ‘দুয়ারে সরকার’ই শুধু নয়, হবে ‘পাড়ায় সমাধান’ও। নভেম্বরেই ফের একগুচ্ছ জনপরিষেবা নিয়ে পাড়ায় পাড়ায় শুরু হতে চলেছে রাজ্য সরকারের এই জোড়া কর্মসূচি। বুধবারই বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সেই বিজ্ঞপ্তি অনুসারে দুর্গাপুজো মিটলেই বসতে চলেছে এই ক্যাম্প। সেই মতোই বুধবার বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।

বুধবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে মুখ্যসচিব বলেন, “১-৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ‘দুয়ারে সরকার’ এবং ১-১৫ নভেম্বর পর্যন্ত পাড়ায় সমাধান কর্মসূচি চলবে। ইতিমধ্যেই রাজ্যে চারটি পর্যায়ে দুয়ারে সরকার অনুষ্ঠিত হয়েছে। নভেম্বরে পঞ্চম পর্ব।” মানুষ আবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে শুরু স্বাস্থ্যসাথী- সমস্ত প্রকল্পে আবার নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন। পাশাপাশি ১-১৫ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে পাড়ায় সমাধান কর্মসূচি। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে যে, এই দুই শিবিরে ২৫ ধরনের পরিষেবা মিলবে। উল্লেখ্য, বাংলার মানুষের দরজায়, পাড়ায় পাড়ায় সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দিতে ২০২০ সালের ১ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন। নবান্ন সূত্রের খবর, চতুর্থ পর্বের শিবিরে ৫৯ লক্ষ মানুষ পরিষেবা পেয়েছেন।

ঠিক কী কী প্রকল্প মিলবে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে? সরকারি বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গিয়েছে, খাদ্যসাথী, স্বাস্থ্যসাথী, জাতিগত শংসাপত্র দান, শিক্ষাশ্রী, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, ঐক্যশ্রী, জয় জহর, ১০০ দিনের কাজ, মানবিক, কৃষক বন্ধু , ঐক্যশ্রী, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা, আধার কার্ড সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ, কৃষি জমির মিউটেশন, বিনামূল্য সামাজিক সুরক্ষা যোজনা, প্রতিবন্ধী শংসাপত্র, মৎস্যজীবী ক্রেডিট কার্ড, কেসিসি (এগ্রিকালচার), কেসিসি (প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন), তাঁতিদের জন্য ক্রেডিট কার্ড–সহ আরও কয়েকটি প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করা যাবে।

একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। খাদ্যসাথী, স্বাস্থ্যসাথী, জাতিগত শংসাপত্র দান, শিক্ষাশ্রী, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, ঐক্যশ্রী, জয় জহর, ১০০ দিনের কাজ-সহ মোট ১০টি প্রকল্পকে এই শিবিরের মাধ্যমে বেশে গুরুত্ব দেওয়া হয়। এইসব প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত অভাব-অভিযোগ শুনতে গ্রামীণ এবং পুরসভা এলাকায় শিবির করার কথা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর একুশের বিধানসভা নির্বাচনে জিতে ফের ক্ষমতায় এসে তা চালু হয়। মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই এই শিবির ব্যাপক সাফল্য পেয়েছিল।

‘দুয়ারে সরকার’ প্রথম থেকেই জনপ্রিয়। এই পরিষেবা রেকর্ড তৈরি করেছে বারবার। এই শিবির থেকে বহু মানুষ খুব তাড়াতাড়ি সমস্যার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। ‘আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স’ (AI) বিভাগে সেরার পুরস্কার পেয়েছে এই জনপ্রিয় প্রকল্পটি।