বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতিকে নিয়ে যাবতীয় জল্পনার অবসান হল। সিবিআই-এর তলবে হাজিরা দিচ্ছেন না অনুব্রত মণ্ডল। একটি ইমেল মারফত অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে এই কথা গতকালই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন। এমনটাই খবর। নিজাম প্যালেসের পরিবর্তে তিনি যাবেন এসএসকেএম-এ। পূর্বনির্ধারিত অনুযায়ী আজই তাঁর হাসপাতালে যাওয়ার কথা রয়েছে। তাই তিনি যেতে পারবেন না। একাধিক শারীরিক সমস্যা রয়েছে বীরভূমের এই দাপুটে নেতার। সেই কারণে মেডিক্যাল চেকআপের প্রয়োজন রয়েছে তৃণমূলের এই নেতার। এমনটাই জানিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী।
এদিকে, ইতিমধ্যেই কলকাতায় পৌঁছে গিয়েছেন কেষ্ট। এই নিয়ে ৯ বার তলব করা হয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলকে সিবিআই-এর পক্ষ থেকে। আজই তাঁর হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল নিজাম প্যালেসে। গরু পাচার মামলায় তাঁকে তলব করেছিল সিবিআই। কিন্তু তিনি আজ নিজাম প্যালেসে যাচ্ছেন না। পরিবর্তে তিনি এসএসকেএম হাসপাতালে। জানা গিয়েছে, বীরভূমের এই দাপুটে নেতার ফিসচুলা ধরা পড়েছে। এর পাশাপাশি তাঁর মাথার পিছনে ও ঘাড়ে ব্যথা রয়েছে। তাই শারীরিক পরীক্ষার প্রয়োজন আছে। এমনটাই ইমেল করে সিবিআইকে জানানো হয়েছে এবং হাজিরার জন্য সময় চাওয়া হয়েছে। শেষ পাওয়া খবরে শারীরিক পরীক্ষার জন্য আজ এসএসকেএম-এ গেছেন অনুব্রত মণ্ডল।
এদিকে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার অনুব্রত মণ্ডলকে সিবিআই-এর তলব নিয়ে কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘সংবাদমাধ্যম থেকে যতটুকু জানতে পেরেছি, তাতে CBI-ED-র হাতে যা তথ্যপ্রমাণ আছে তার ভিত্তিতে ওঁর জন্য খাঁচা তৈরিই আছে।’ সূত্রের খবর, সিবিআই-এর পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সমস্যা মিটলে, হাজিরা দিতে, সেক্ষেত্রে ফের মঙ্গলবার হাজিরার জন্য তলব করা হতে পারে অনুব্রতকে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কয়লা এবং গরু পাচার মামলায় যৌথভাবে অভিযান শুরু করেছেন সিবিআই এবং ইডি-র আধিকারিকরা। বীরভূমের একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান করা হয়েছে। সম্প্রতি অনুব্রত মণ্ডলের এক ঘনিষ্ঠ অনুচরের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে নগদ ১৭ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বাজেয়াপ্ত হয়েছে ১০ টি মোবাইল-সহ ইলেকট্রনিক ডিভাইস। অনুব্রত মণ্ডলের জেলার এক ব্যবসায়ীর বাড়িতেও হানা দেয় দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সম্প্রতি অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বলে পরিচিত পাথর ব্যবসায়ী টুলু মণ্ডলের বাড়িতে একসঙ্গে তল্লাশি চালায় ইডি ও সিবিআই। অভিযোগ, গরু পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত এই টুলু মণ্ডল। সেই তল্লাশি অভিযানেও বেশ কিছু নথি উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। সেই সব নথির উপর ভিত্তি করেই বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। তবে, আজ শারীরিক পরীক্ষার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে, নাকি ভরতি করা হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
অন্যদিকে, তল্লাশি চালানো হয়েছিল সম্প্রতি বীরভূমের জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল কেরিম খান এবং তাঁর সহযোগী জিয়াউল হক শেখের বাড়িতেও। গরুপাচার কাণ্ডে কেরিম খানের নাম উঠে এসেছে বলেও সিবিআইয়ের তরফে দাবি করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :