বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ গরুপাচার মামলায় নয়া মোড়! গরুপাচার মামলায় এবার গ্রেফতার হলেন বীরভূমের তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। এদিন দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করে সিবিআই। বৃহস্পতিবার তাঁকে ফের একদফা জিজ্ঞাসাবাদ করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। এরপরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সূত্রের খবর, আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে সায়গল হোসেনকে। তাঁর বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি মিলেছে বলেই খবর। শুক্রবার অর্থাৎ আগামীকালই তাঁকে আদালতে তোলা হবে বলেই খবর।
বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটের কাছাকাছি আইনজীবী সঞ্জীব দাঁয়ের সঙ্গে সিবিআই-এর ডাকে নিজাম প্যালেসে ঢোকেন সায়গল হোসেন। তাঁর বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি আছে বলে অভিযোগ রয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রে দাবি করা হয়েছে যে, আয়ের সঙ্গে সম্পত্তির হিসেব দেখাতে পারেননি তিনি। জানা গিয়েছে কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর সেখান থেকে আবারও নিজাম প্যালেসে নিয়ে আসা হবে এবং সেখানেই ফের শুরু হবে জিজ্ঞাসাবাদ।
এরপর আগামীকাল তাঁকে আসানসোলে সিবিআই-এর আদালতে পেশ করা হবে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, সায়গলের নামে একাধিক অ্যাকাউন্ট, একাধিক জমির দলিল পাওয়া গিয়েছে, যার সঙ্গে তাঁর বেতনের কোনও সামঞ্জস্য নেই। এর আগেও মঙ্গলবার সায়গলকে জেরা করেছিল সিবিআই। এই নিয়ে তাঁকে ৫ বার জিজ্ঞাসাবাদ করা হল তাঁকে।
এদিকে, গত সপ্তাহেই সায়গল হোসেনের মুর্শিদাবাদের ডোমকলের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। সেদিন প্রায় ১৫ ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সেখানে প্রায় সাড়ে ৭ ঘণ্টায় জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। বেশ কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। এরপর ফের দুর্গাপুরেও সিবিআই-এর অস্থায়ী অফিসেও তাঁকে জেরা করা হয়। গরুপাচার কাণ্ডে কারা লাভবান হন, এই পাচারে তাঁর কী ভূমিকা ছিল? টাকার উৎস কী? তাঁর হাত দিয়ে টাকা কোথায় পাঠানো হত? এসবই জানতে চান সিবিআই-এর আধিকারিকরা। এর আগে এই মামলায় যাঁদের জেরা করা হয়েছে, তাঁদের থেকেই অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের নাম উঠে আসে। এই মামলায় তাঁর ভূমিকাও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা।
আপনার মতামত লিখুন :