শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

শহরে ফের এক উঠতি মডেলের রহস্যমৃত্যু! কসবায় বাড়ি থেকে উদ্ধার তরুণীর ঝুলন্ত দেহ

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: মে ২৯, ২০২২, ১১:১১ পিএম | আপডেট: মে ৩০, ২০২২, ০৫:২০ এএম

শহরে ফের এক উঠতি মডেলের রহস্যমৃত্যু! কসবায় বাড়ি থেকে উদ্ধার তরুণীর ঝুলন্ত দেহ
শহরে ফের এক উঠতি মডেলের রহস্যমৃত্যু! কসবায় বাড়ি থেকে উদ্ধার তরুণীর ঝুলন্ত দেহ / প্রতীকী ছবি

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ফের শহরে এক উঠতি মডেলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল। এই ঘটনায় নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পল্লবী-বিদিশা-মঞ্জুষার ফের এক কিশোরীর রহস্য মৃত্যু। শনিবার গভীর রাতে কসবায় নিজের বাড়িতেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন ওই তরুণী। 

মৃতের নাম সরস্বতী দাস। বয়স ১৮ বছর। কসবার বেদিয়াডাঙা এলাকার বাসিন্দা সরস্বতী। ছোটবেলাতেই সরস্বতীর বাবা তাঁদের ছেড়ে চলে যান। মা-মাসির কাছে বড় হয়েছেন সরস্বতী। জানা গিয়েছে, সরস্বতীর মা এবং মাসি উভয়েই আয়ার কাজ করেন। শনিবার তাঁরা কাজের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরই আত্মহত্যা করেন সরস্বতী। পুলিশের অনুমান, সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরেই এই আত্মহত্যা।

শনিবার রাতে দিদার পাশেই শুয়েছিলেন তরুণী। মাঝরাতে তাঁর দিদা উঠে দেখতে পান, পাশে সরস্বতী নেই। এরপরই পাশের ঘরে গিয়ে সরস্বতীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান।  তিনিই সরস্বতীর গলার ফাঁস কেটে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।

পরিবার সূত্রে খবর, মাধ্যমিকের পর আর লেখাপড়া এগিয়ে নিয়ে যাননি সরস্বতী। পড়া ছাড়ার পর, সরস্বতী মেকআপ আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করতেন। কখনও কখনও আবার মডেলিংও করতেন। এছাড়াও ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের পড়াতেনও। এদিকে, এই আত্মহত্যার পিছনে সম্পর্কের টানাপোড়েনের বিষয়ের কথা বলা হলেও, পুলিশের পক্ষ থেকে পরিষ্কার করে কিছুই জানানো হয়নি। তবে, সরস্বতীর সঙ্গে কারও সম্পর্ক রয়েছে বলে পরিবারের তরফেও কিছু বলা হয়নি। 

সরস্বতীর মৃত্যুর পর, তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, শনিবারও স্বাভাবিক আচরণ ছিল তাঁর। তাঁর আচরণে কোনও অস্বাভাবিকতা ধরা পড়েনি। শনিবারও সকলের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। মাসির সঙ্গেও ভিডিও কলে কথা হয়। তারপরেও কেন এমন ঘটনা ঘটল, তা এখনও স্পষ্ট হয়। 

এদিকে, মাত্র ১৩ দিনের মধ্যে শহরে ৪ উঠতি মডেল-অভিনেত্রীর মৃত্যুতে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অতিরিক্ত কাজের চাপ, সম্পর্কের টানাপোড়েন এবং উচ্চাকাঙ্খার চাপে জর্জরিত উঠতি মডেল- অভিনেত্রীরা যেভাবে নিজেদের জীবন শেষ করে দিচ্ছেন, তা যথেষ্ট চিন্তার এবং উদ্বেগজনক। এমনটাই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।