শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

মুখে ব্যান্ডেজ, হাতে লেখা ‘গলায় ব্যথা’! হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন মদন মিত্র

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: মার্চ ১১, ২০২২, ০৩:৪৩ পিএম | আপডেট: মার্চ ১১, ২০২২, ০৪:১৩ পিএম

মুখে ব্যান্ডেজ, হাতে লেখা ‘গলায় ব্যথা’! হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন মদন মিত্র
মুখে ব্যান্ডেজ, হাতে লেখা ‘গলায় ব্যথা’! হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন মদন মিত্র

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ভোকাল কর্ডে অস্ত্রোপচারের পর শুক্রবার এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, মদন মিত্রের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। আপাতত ১০ দিন তাঁকে কথা না বলার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। 

শুক্রবার মুখে ব্যান্ডেজ লাগিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ড থেকে বের হন মদন মিত্র। লিখিতভাবে চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানান তিনি। তিনি আরও জানিয়েছেন যে, দের মাস পর থেকে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দেবেন। কারণ ততদিন পর্যন্ত কোনও স্লোগান বা বক্তৃতা দেওয়া যাবে না। তিনি জানিয়েছেন, প্রথমে বাড়ি যাবেন, পরে বিধানসভায় যাবেন। কারণ বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন চলেছে। এদিন যখন মদন মিত্র হাসপাতাল থেকে বের হন, তখন তাঁর মুখে ব্যান্ডেজ থাকলেও হাতে ছিল পেন এবং রুল টানা পাতা। সেখানেই লেখা ছিল, ‘বাড়ি থেকে বিধানসভা যাব। আজ বাজেট।’ তেমনই এও লেখা ছিল যে, ‘আমার গলায় ব্যথা, পায়ে সর্ষে।’ অর্থাৎ কথা বলা বারণ থাকলেও, কাজ যে তিনি থামাবেন না, কাগজে-কলমের মাধ্যমে তিনি সেই বার্তাই তুলে ধরলেন। 

উল্লেখ্য, নভেম্বর মাসের শেষের দিকে, মদন মিত্রের ভোকাল কর্ডে টিউমার ধরা পরে। তবে, তখন পুরভোট থাকায় অস্ত্রোপচার করাতে চাননি মদন মিত্র। অবশ্য সমস্যাটা অনেক দিনের। বহুদিন ধরেই গলার সমস্যায় ভুগছিলেন কামারহাটির বিধায়ক। গত বছর মে মাসেই জানা গিয়েছিল যে, মদন মিত্রের ভোকাল কর্ডে সমস্যা রয়েছে। যদিও সে সময়ে অস্ত্রোপচারের উপর জোর দেওয়া হয়নি। তবে, সূত্রের খবর, এবার অস্ত্রোপচারের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলেই জানায় তাঁর চিকিৎসকেরা।

সেই জন্যই মঙ্গলবার রাতে এস এস কে এম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডের ১০৩ নম্বর কেবিনে ভর্তি হন মদল মিত্র। তাঁর চিকিৎসার জন্য ইএনটি স্পেশ্য়ালিস্ট চিকিৎসক অরুণাভ সেনগুপ্তর নেতৃত্বে আট সদস্যের একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়। পাশাপাশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মদন মিত্রের গলায় টিউমারের অবস্থা, পেশি ইনভলমেন্ট ইত্যাদি দেখা হয়। তাছাড়াও নানারকম রক্তপরীক্ষা, ইকোকার্ডিওগ্রাম এবং ইসিজি হয়। 

হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সময় মদন মিত্র জানিয়েছিলেন, ‘চিকিৎসকরা ফোন করে জানালেন গলার ভিতরে টিউমার রয়েছে, সেটা ছড়িয়ে গিয়েছে। গলায় বেশ ব্যথা আছে। জোরে চিৎকার করতে গেলে কাকের মতো আওয়াজ বেরোচ্ছে। ভোকাল কর্ডটা মনে হয় নষ্ট হয়ে গেছে।’ এদিন তিনি আরও বলেন যে, ‘ভোকাল কর্ডে দীর্ঘদিন ধরেই সমস্যা ছিল। আমি চেপে রেখেছিলাম। এখন সমস্যাটা বেড়েছে। তাই নিজে থেকে ভর্তি হলাম।’

এরপর অস্ত্রোপচারের সময় চিকিৎসকেরা দেখেন মদন মিত্রের ভোকাল কর্ডে একটি নয়, দুটি পলিপ রয়েছে। চিকিৎসকেরা দুটি পলিপই বাদ দিয়েছেন। ইএনটি বিভাগের প্রধান চিকিৎসক অরুণাভ সেনগুপ্ত অপারেশন করেন।