বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ অবশেষে সব বিতর্কের অবসান। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে আবারও ফিরলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। চলতি মাসের ১২ তারিখ তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতি গঠন করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কমিটিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি জায়গা পেয়েছিলেন অভিসেক-সহ আরও ১৯ জন। আর আজ ছিল সেই কর্মসমিতির প্রথম বৈঠক কালীঘাটে। সেখানেই ফের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে ফেরালো তৃণমূল কংগ্রেস।
এদিকে, এই বৈঠকে কাকে কোন দায়িত্ব দেওয়া হবে, তার পাশাপাশি, সেই পুরনিগমের মেয়র ও মেয়র পারিষদ গঠনের প্রক্রিয়া ও তাঁদের নাম ঘোষণা করা হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছিল। সেই অনুযায়ী, অভিষেককে দায়িত্বে রেখেই, জাতীয় স্তরে তৃণমূলের একাধিক কমিটি হল। তৃণমূলের সহ সভাপতি যশবন্ত সিনহা, সুব্রত বক্সী, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। কমিটির মধ্যে সমন্বয়ের দায়িত্বে ফিরহাদ হাকিম, কোষাধ্যক্ষ অরূপ বিশ্বাস। নীতি নির্ধারণ কমিটির দায়িত্বে যশবন্ত সিন্হা, অমিত মিত্র। পাশাপাশি তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র করা হল সুখেন্দুশেখর রায়কে।
অন্যদিকে, রাজ্যসভার অধিবেশনে মুখপাত্র হলেন সুখেন্দু, লোকসভায় কাকলী ঘোষ দস্তিদার। তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র করা হল সুখেন্দু, কাকলী, মহুয়া মিত্র। ডেপুটি মেয়র গসিমুল হক, অভিজিৎ ঘটক। বিধাননগরের চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত। বিধাননগরের মেয়র হচ্ছেন কৃষ্ণা চক্রবর্তী, ডেপুটি অনিতা মণ্ডল। চন্দননগরের মেয়র হচ্ছেন রাম চক্রবর্তী। আসানসোলের মেয়র হচ্ছেন বিধান উপাধ্যায়, ডেপুটি ওয়াসিমুল হক, অভিজিৎ ঘটক।
উল্লেখ্য, কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক শেষ। এ দিন জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের আগে পরপর ৩ টি আলাদা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সূত্রের খবর, বৈঠক শুরুর কিছু আগে অভিষেকের সঙ্গে কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরে অভিষেক, মলয় ঘটকের সঙ্গেও আলোচনা হয়। এরপরে ফের অভিষেক, ফিরহাদ এবং মলয় ঘটকের সঙ্গে কথা বলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। আজ এই বৈঠকে দলের সাংগঠনিক স্তরে একাধিক পরিবর্তনের পাশাপাশি জাতীয় স্তরে পদাধিকারীদের নাম ঘোষণা করার জল্পনাও ছিল।
আপনার মতামত লিখুন :