বংনিউজ২৪×৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যের শাসনক্ষমতা দখল করার পর এই প্রথম একুশের সমাবেশ আয়োজন করল তৃণমূল। কোভিড অতিমারির কারণে বিগত দু’বছর ধরে ভার্চুয়াল সমাবেশ করতেই বাধ্য হয়েছিল শাসক দল। তবে এই বছর সংক্রমণ একটু কমতেই পুরনো দমে সভায় যোগদান করতে ধর্মতলার বুকে হাজির হয়েছেন লক্ষ লক্ষ কর্মী-সমর্থকরা। আর সেই শহীদ স্মরণ সভার মঞ্চ থেকেই বক্তব্য রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সম্প্রতি নতুন করে বেশ কয়েকটি পণ্যের ওপর জিএসটি আরোপ করেছে মোদী সরকার। আর এই বিষয়টি নিয়ে সভা মঞ্চ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী। সর্বসমক্ষে প্রশ্ন তোলেন, “মুড়িতেও এখন জিএসটি। মানুষ খাবে কী? আমাদের মুড়ি ফিরিয়ে দাও নইলে বিজেপি বিদায় নাও।”
কেবল জিএসটি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করেই ক্ষান্ত থাকেননি তিনি। কর্মী-সমর্থকদের কাছে সরাসরি মুড়ি চেয়ে বসেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তারই মাঝে মুড়ি হাতে নিয়ে এগিয়ে আসেন এক কর্মী। থালায় সাজিয়ে মুড়ি নিয়ে আসার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই মুড়ি ভর্তি একটি ট্রে হাতে নিয়ে মঞ্চে ওঠেন কলকাতা পৌরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়ে বলেন, “আর একটু বেশি দে। মুড়িটা ওঁকে ফেরত দিবি।” এমনকি ওই কর্মীকে আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, “মুড়ি ফেরত দেব কিন্তু, চিন্তা করো না।” মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “মুড়ির ওপরেও জিএসটি। বিজেপির বন্ধুরা মুড়ি খাবেন না! ইডি, সিবিআই, আয়কর দফতর আসলে মা-বোনেরা মুড়ি খেতে দেবেন। একটু তেল দিয়ে দেবেন। বলবেন এতে জিএসটি লাগবে না।” তিনি আরও বলেন, “মুড়িতে ট্যাক্স বসানো সরকার, আর নেই দরকার।”
বিভিন্ন পণ্যের ওপর জিএসটি বসানোর পাশাপাশি আরও একাধিক বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে সরাসরি আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। গ্যাসের দাম, পেট্রোলের দাম বৃদ্ধি থেকে শুরু করে অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়েও বিজেপিকে এক হাত নেন তিনি। তাঁর কথায়, “বাংলা থেকে সব থেকে বেশি ট্যাক্স তুলে নিয়ে যায়। গরিবদের সবকিছু হরণ করে নিয়েছে বিজেপি। ১০০ দিনের টাকা কেন বন্ধ করলে? ১০০ দিনের টাকা তাড়াতাড়ি দাও।”
আপনার মতামত লিখুন :