শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

বিধাননগরে পুরভোটের আগে লেকটাউনে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি-সহ গ্রেফতার ২ দুষ্কৃতী

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২২, ০১:০১ পিএম | আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২২, ০১:৩১ পিএম

বিধাননগরে পুরভোটের আগে লেকটাউনে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি-সহ গ্রেফতার ২ দুষ্কৃতী
বিধাননগরে পুরভোটের আগে লেকটাউনে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি-সহ গ্রেফতার ২ দুষ্কৃতী / প্রতীকী ছবি

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। তারপরই রয়েছে পুরভোট। এদিকে, পুরভোটের আগেই অশান্তির আঁচ বিধাননগর পুর এলাকার অন্তর্গত লেকটাউনে। লেকটাউন থেকে গ্রেফতার হয়েছে ২ ব্যক্তি। সঙ্গে উদ্ধার হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র এবং গুলি। 

জানা গিয়েছে আজই তাদের বিধাননগর আদালতে পেশ করা হবে। অস্ত্র আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হতে পারে। গ্রেফতার দুইজনের পরিচয় জানতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এদের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। শনিবার রয়েছে বিধাননগরে পুরভোট। এদিকে, তার আগের দিন অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনার অশান্তির আশঙ্কা আরও বাড়ল বলেই মনে করছেন সাধারণ বাসিন্দারা। 

উল্লেখ্য, বিধাননগর ভোটের ক্ষেত্রে বরাবরই রাজনৈতিক ভাবে উত্তপ্ত থাকে। পঞ্চায়েত থেকে পুরসভা বা বিধান্সভা-সব ধরনের নিরবাচনেই এই বিধাননগর এলাকা থেকে আসে একাধিক অশান্তির খবর। সেই সঙ্গে উদ্ধার হয় অস্ত্রশস্ত্রও। তাই এবারের পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে কিনা, বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন ছিল। গতকালই হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল যে, ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনই। বিধাননগরের ‍‍`গ্রাউন্ড রিয়েলিটি‍‍` খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে কমিশনকে। আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে, যদি ভোটে কোনও অশান্তি হয়, তবে তার দায়ও কমিশনের উপরেই বর্তাবে। ব্যক্তিগতভাবে দায়ী থাকবেন কমিশনার। 

হাইকোর্টের এই নির্দেশের পরই মুখ্যসচিব-স্বরাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে বৈঠকে বসে কমিশন। প্রশসানিক কর্তাদের সঙ্গে  আলোচনার পর, রাজ্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, রাজ্য পুলিশ দিয়েই ভোট করানো হবে। প্রয়োজনে ভোটের দিন মোতায়েন থাকবে অতিরিক্ত পুলিশ। যদিও এবার ভোটের দিন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই বিধান নগরপুরনিগম এলাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে বিরোধীদের পক্ষ থেকে একাধিক অভিযোগ উঠছে। 

এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার সকালে নাকা চেকিংয়ের সময়ে অস্ত্র-সহ লেকটাউন এলাকা থেকে গ্রেফতার হয়েছে ২ দুষ্কৃতী। জানা গিয়েছে এরা দুজনেই কাঁকুড়গাছির বাসিন্দা। ঠিক কী কারণে তারা ওই এলাকায় অস্ত্র মজুত করছিল। তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। এদিকে, মনে করা হচ্ছে, বিধাননগরে ভোটের দিন অশান্তি সৃষ্টির জন্যই এই অস্ত্র মজুত করা হচ্ছিল। ধৃত দুইজনকে জেরা করে সবকিছু জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।  অন্যদিকে, অস্ত্র উদ্ধারের পর, এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করেছে পুলিশ। বিধান নগরের প্রতিটি মোড়ের পাশাপাশি বিধাননগরে ঢোকা এবং বেরনোর মুখেও চলছে নাকা চেকিং। যাত্রীবাহী গাড়ির ক্ষেত্রে গাড়ির নম্বর প্লেট সহ গাড়িচালকের ছবিও তুলে রাখা হচ্ছে এই নাকাগুলিতে। বিধাননগর ট্রাফিক পুলিশের কর্মীরা রয়েছেন এই নাকা চেকিং-এ।  

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শনিবার রাজ্যের আরও ৩ পুরনিগমের সঙ্গে ভোটগ্রহণ হবে বিধাননগরের ৪১টি ওয়ার্ডে। মনোনয়ন পর্ব থেকেই এখানকার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে অশান্তির খবর মিলেছে। মূলত বিজেপিকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে। তাই স্বাভাবিকভাবেই বিধাননগরের পুরভোট ঘিরে বাড়তি নিরাপত্তা রয়েছে। শুক্রবার থেকেই কড়া নজরদারিতে মুড়ে ফেলা হয়েছে বিধাননগর।