আজও ভারতবর্ষের মানুষদের যাতায়াতের অন্যতম প্রধান ভরসা হল রেল ব্যবস্থা। ভারতীয় পরিবহনে নিত্যদিন লাখ লাখ যাত্রী যাতায়াত করেন। বিভিন্ন রেল দুর্ঘটনা হোক বা অন্য কিছু অন্য কিছুই ভারতবাসীকে রেল পথে যাতায়াত করা থেকে আটকাতে পারেনি। কারণ অন্যান্য সমস্ত যানবাহনের তুলনায় রেলের টিকিটই একমাত্র পকেট সাশ্রয়ী।
তবে বহু সময় বহু ক্ষেত্রে দেখা যায় রেলের টিকিটের ভীষণ অমিল। বিশেষ করে উৎসবের মরশুমে। তখন দেশ জুড়ে বিভিন্ন মানুষের বাড়ি ফেরার তারা থাকে যে কারণে চোখের পলক ফেলতে না ফেলতেই টিকিট বুকিং হয়ে যায়। আর এই সমস্ত সময়ে সাধারণ মানুষের ত্রাতা হয়ে ওঠেন দালালরা। কিন্তু যখন সাধারণ মানুষ টিকিট পাচ্ছেন না সেই সময় দালালরা কিভাবে টিকিট পান?
যার প্রধান কারণ হলো, ট্রেনের টিকিট বুকিংয়ের সময় দালালরা একটা দুটো নয়, প্রচুর টিকিট আগে ভাগে বুকিং করে রেখে দেয়। যার ফলে কনফার্ম টিকিট পাওয়া যায়।
এছাড়াও টিকিট বুকিংয়ের ক্ষেত্রে দালালরা সাধারণত এক বিশেষ সফটওয়্যার এবং সরঞ্জাম ব্যবহার করে, যার ফলে বুকিং প্রক্রিয়া স্বয়ংক্রিয় হয়। এই ডিভাইসগুলো ম্যানুয়ালি টিকিট বুকিংয়ের থেকে অনেক দ্রুত কাজ করে। যার ফলে মেলে কনফার্ম টিকিট।
টিকিট ব্রোকাররা প্রায়ই একাধিক আইডি এবং অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে টিকিট বুক করেন এবং যার জন্য কনফার্ম টিকিট আসে। এছাড়াও তারা খুব সহজেই ওয়েটিং টিকিটকে কনফার্ম করার পদ্ধতি জানে। এই বিশেষ কৌশলের মাধ্যমে তারা বেশি দামে টিকিট বিক্রি করতে পারে।
এছাড়াও এই সমস্ত টিকিট ব্রোকাররা তৎকাল কোটার অধীনে টিকিট বুক করতে একেবারে সিদ্ধহস্ত। সাধারণ মানুষের কাছে তৎকাল টিকিট কাটা ভীষণই দুর্বিষহ ব্যাপার। মিলিতেই চায়না। কিন্তু এই সমস্ত ব্রোকাররা একাধিক এজেন্টের মাধ্যমে সমস্ত টিকিট বুক করে নেয়।