তিনি শুধু মহারাজের স্ত্রী নন, অসামান্য ওড়িশি নৃত্যশিল্পীও। স্বামীর আলোতে আলোকিত না হয়ে গড়েছেন নিজের পরিচয়। ডোনা গাঙ্গুলী কলকাতা শহরের অন্যতম নামজাদা নৃত্য শিল্পীও বটে। তার শিক্ষার্থীর সংখ্যাও বেশ ভালো। শুধু কি তাই? দেশ থেকে বিদেশ নিজের নাচের দল নিয়ে শো করেন তিনি। আর তাই এমন খ্যাতনামা শিল্পীর কাছে অনেকেই চান তার ছেলে, মেয়েকে ভর্তি করতে।
আর বিশেষ করে তিনি মহারাজের স্ত্রী হওয়ার দরুণ সবাই একটা অমোঘ আকর্ষণ অনুভব করেন। আর সেই কারণ বশতই সবার ইচ্ছে থাকে ডোনার নাচের স্কুলের ইতিবৃত্ত জানার। সম্প্রতি ডোনা গাঙ্গুলীর নাচের স্কুলে ঘটা করে আয়োজিত হয়ে গেল সরস্বতী পুজো। বাগদেবীর আরাধনায় ডোনার সঙ্গে ছিল তার পরিবার।
সৌরভ-ডোনা কন্যা সানাও একজন প্রশিক্ষিত ওড়িয়া নৃত্যশিল্পী। বর্তমান সময়ে চাকরি সূত্রে সানা লন্ডনে থাকলেও এই মুহূর্তে তিনি বাড়িতেই রয়েছেন এবং বাগদেবীর আরাধনায় মায়ের সঙ্গে আয়োজনেও ছিলেন শশব্যস্ত। পুজোয় ডোনা পরেছিলেন সাদা শাড়ি-ব্লাউজ, আর সানা পরেছিলেন সোনালি রঙের সালোয়ার কামিজ। মেয়ে ও মায়ের সঙ্গে তোলা ছবি সোশ্যাল মাধ্যমে ভাগ করে নেন ডোনা গাঙ্গুলী।
বহু মানুষেরই জানার ইচ্ছে ডোনা গাঙ্গুলীর নৃত্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র অর্থাৎ দীক্ষামঞ্জুরীতে কি রকম খরচ হয়। সেলিব্রিটি ডান্স স্কুল বলে কথা! চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক! বলাই বাহুল্য মধ্যবিত্তের হাতের নাগাল থেকে কিন্তু খুব বেশি দূরে নয় দীক্ষামঞ্জুরী। বলতে গেলে একটু খরচ করলে আপনিও আপনার সন্তানকে এই ডান্স স্কুলে ভর্তি করাতেই পারেন। ডোনার ক্লাসে অফলাইন ভর্তি হলে মাত্র ১০০০ টাকা দিতে হয়। আর মাসিক বেতন মাত্র ৬০০ টাকা। উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন যাবৎ স্কুলের মাইনে ৬০০ টাকারও কম ছিল, বছর দুয়েক আগে সেই মাইনে কিছুটা বাড়ানো হয়। এক-একটি ব্যাচে সর্বাধিক ২৫ জন থাকে। যদিও ব্যক্তিগতভাবে ক্লাস করানোর পারিশ্রমিক আলাদা হয়।