বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ শেষ মুহূর্তে পাল্টে গেল পুরো খেলাটা। আর এর কৃতিত্ব অধ্যক্ষের। পাকিস্তানে বাতিল হয়ে গেল বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব। কাজেই স্বস্তিতে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তাঁর বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করলেন ন্যাশানাল অ্যাসেম্বলির ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি। তিনি অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করে বলেন যে, ‘ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব সেই দেশের সংবিধানের ৫ নম্বর ধারার পরিপন্থী।’
এদিকে, তাঁর বিরুদ্ধে আনা বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাব খারিজের পর, জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ইমরান খান বলেন, ‘রাষ্ট্রপতিকে সংসদ ভেঙে দিতে বলেছি। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচন হতে হবে। আমি পাকিস্তানের জনগণকে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হওয়ার ডাক দিচ্ছি।’ এদিন পাক সংসদের ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবকে ‘অসাংবিধানিক’ আখ্যা দিয়ে তা খারিজ করে দেন। আস্থা ভোটের কয়েক ঘণ্টা আগে বিরোধীরা অধ্যক্ষ আসাদ কায়সারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করার পরেই সুরি সেই দায়িত্ব নেন। উল্লেখ্য, এদিন ন্যাশানাল অ্যাসেম্বলির স্পিকার আসাদ কায়সারকে অপসারণের প্রস্তাবে ১১০ জনের সাক্ষর ছিল।
প্রসঙ্গত, দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়ায় বিক্ষোভের মুখে পড়েন ইমরান খান। এদিকে, ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব বাতিল হওয়ায় ক্ষুব্ধ পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান তথা বিরোধী দলনেতা বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। তিনি বলেন, ‘সরকারের বিরুদ্ধে সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ ঐক্যবদ্ধভাবে বিরোধী দল সংসদে ধর্না দেবে। আমাদের আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছেন।’
এদিকে, রবিবার সংসদে আস্থা ভোটকে কেন্দ্র করে অশান্তির আশঙ্কা করেছিল প্রশাসন আগেই। তাই পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। পাশাপাশি যেকোনো ধরনের অশান্তি এড়াতে বড় জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ইমরান খানের দল-এর জোটসঙ্গী মুত্তাহিদা কাওমি মুভমেন্ট বা এমকিউএমপি শিবির পাল্টানোয় ইমরান খানের শক্তি কমে যায়। আস্থা ভোটে সংখ্যার বিচারে পিছিয়ে পড়েছিলেন ইমরান খান। তাই আজই ক্ষমতা হারাতে হবে ইমরান খানকে, এমনটাই মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে পুরো খেলা পাল্টে গেল।
আপনার মতামত লিখুন :