সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

ওমিক্রনের জের! বিয়ে বাতিল করলেন এই দেশের প্রধানমন্ত্রী

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৪, ২০২২, ০১:১৬ পিএম | আপডেট: জানুয়ারি ২৫, ২০২২, ০২:৪৯ এএম

ওমিক্রনের জের! বিয়ে বাতিল করলেন এই দেশের প্রধানমন্ত্রী
ওমিক্রনের জের! বিয়ে বাতিল করলেন এই দেশের প্রধানমন্ত্রী

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ মারণ করোনা এখনও বিদায় নেয়নি বিশ্ব থেকে। একের পর এক করোনার নয়া প্রজাতির তাণ্ডবে ত্রস্ত গোটা বিশ্ব। মারণ করোনা নানাভাবে মানুষের জীবনে নানাভাবে প্রভাব ফেলেছে। যেমন- এই করোনা মহামারির জেরে গত দুই বছরে বহু দম্পতিই তাঁদের নতুন জীবন শুরু করতে পারেনি। অনেকেই তাঁদের নির্ধারিত বিয়ে বাতিল করতে বাধ্য হয়েছেন। 


এবার ওমিক্রনের গোষ্ঠী সংক্রমণের বিস্তার রোধ করার জন্য, নিউজিল্য়ান্ডে নতুন বিধিনিষেধ আরোপ হওয়ার ফলে, সেই একই কাজ করতে বাধ্য হলেন সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডের্ন। একটি বিয়ের আসর থেকেই নিউজিল্যান্ডের উত্তরের দ্বীপ থেকে গোষ্ঠী সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে দক্ষিণের দ্বীপেও। তারপরই রবিবার মধ্যরাত থেকে সেই দেশে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে এবং এর পাশাপাশি সভা-সমিতি-অনুষ্ঠানে জমায়েতের সংখ্যা সীমাবদ্ধ করা হচ্ছে। এর জন্যই আপাতত বিবাহ পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী।


রবিবার রাত থেকেই কঠোর কোভিড-১৯ সুরক্ষা কাঠামোর অধীনে চলে গেছে নিউজিল্যান্ড। বার এবং রেস্তোরাঁর থেকে শুরু করে যে কোনও অভ্যন্তরীণ আতিথেয়তার ক্ষেত্রে এবং বিবাহের অনুষ্ঠানে সর্বোচ্চ ১০০ জন মানুষের জমায়েত করা যাবে বলে জানানো হয়েছে সরকার- প্রশাসনের পক্ষ থেকে। তাও, সকলের সঙ্গে ভ্যাকসিন পাস থাকতে হবে। কোথাও ভ্যাকসিন পাস না ব্যবহার করলে, সর্বোচ্চ জমায়েতের সীমা কমে ২৫ জন হবে। এই পরিস্থিতিতে তিনি বিয়ে করবেন না বলে, এদিন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন আর্ডের্ন। তাঁর মতো একই পরিস্থিতিতে যাঁরা পড়েছেন, তাঁদের জন্য তিনি দুঃখিত বলেও জানান কিউই প্রধানমন্ত্রী। এদিকে, আর্ডের্নের বিয়ের তারিখ জানা না গেলেও, সকলেই জানত যে, খুব তাড়াতাড়িই তিনি তাঁর দীর্ঘদিনের সঙ্গী তথা ফিশিং-শো হোস্ট ক্লার্ক গেফোর্ড-এর সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হতে চলেছেন।


নিজের বিয়ে বাতিল নিয়ে আর্ডের্ন সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, ‍‍`জীবন এমনই‍‍`। তিনি জানান, হাজার হাজার নিউজিল্যান্ডবাসীর থেকে তিনি কোনোভাবেই আলাদা নন। মহামারিটি আরও অনেকের জীবনে অনেক বেশি বিধ্বংসী প্রভাব ফেলেছে। সবথেকে ভয়ঙ্কর হ‍‍`ল, গুরুতর অসুস্থতার সময়ে, প্রিয়জনের সঙ্গে থাকতে না পারা। এই ধরণের ঘটনাগুলি তাঁর জীবনের যে কোনও দুঃখের থেকে বড়, এমনটাই বলেছেন তিনি। 


সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডের উত্তর দ্বীপের অকল্যান্ডে একটি বিবাহ এবং অন্যান্য অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার পর, বিমানে করে দক্ষিণ দ্বীপের নেলসন শহরে ফিরে এসেছিলেন সেই দেশের একটি পরিবার। ইতিমধ্য়েই ওই পরিবারের সকল সদস্য এবং একজন বিমান পরিচারিকার করোনা পরীক্ষার ফল পজিটিভ এসেছে। তারপরই, এই কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। 


প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকেই নিউজিল্যান্ডের সীমানা, বিদেশীদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের মধ্যে পর্যায়ক্রমে তা খোলার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু, প্রতিবেশী দেশ অস্ট্রেলিয়ার মতোই সম্ভাব্য ওমিক্রন প্রাদুর্ভাবের জেরেই সে দেশের সরকার সেই পরিকল্পনা পিছিয়ে দিয়েছে।