বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ মন্দিরের কাছে কোনও মদের দোকান রাখা যাবে না। এবার এমনটাই নির্দেশ দিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। অযোধ্যা এবং মথুরার মন্দির সংলগ্ন এলাকায় এই নির্দেশ জারি হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।
বুধবার থেকেই এই নির্দেশ কার্যকর করা হয়েছে অযোধ্যা এবং মথুরার মন্দির সংলগ্ন এলাকায়। এদিকে, ইতিমধ্যেই ওই সমস্ত অঞ্চলের সব মদের দোকানের লাইসেন্স বাতিল করে দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। পরিবর্তে মথুরায় দুধের ব্যবসা আরও বাড়াতে নির্দেশ দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
অযোধ্যার রাম মন্দির সংলগ্ন অঞ্চলে বন্ধ করা হয়েছে মদের ব্যবসা। প্রধানত সাধুদের দাবিতেই এই সিদ্ধান্ত বলেই জানা গিয়েছে। সম্প্রতি মন্দির সংলগ্ন এলাকায় মাংস বিক্রি বন্ধ করতে অনুরোধ জানিয়েছিল সাধুদের একাংশ, এর পাশাপাশি মদের দোকানগুলিও বন্ধের দাবি জানান তাঁরা। সেই দাবি বিবেচনা করেই মদের দোকানগুলি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয় সরকারের তরফে। সরকারি নির্দেশিকায় স্পষ্ট বলা হয়েছে যে, মন্দির থেকে ১০ কিলোমিটার দূরত্বে কোনও নেশার দ্রব্য বিক্রি করা যাবে না।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মথুরা-বৃন্দাবন এলাকাকে ‘পবিত্র তীর্থস্থান’ বলে ঘোষণা করে উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথের সরকার। এরপরেই ওই অঞ্চলে মাংস এবং মদ বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
এই সরকারি নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে মথুরা জেলার আবগারি দফতরের প্রধান প্রভাত চন্দ্র জানিয়েছেন যে, ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। বার্ষিক প্রায় ৪০ কোটি টাকা রাজস্ব কমবে এই নির্দেশের জেরে। এমনটাই জানিয়েছেন আবগারি দফতরের প্রধান। অন্যদিকে, মথুরায় মন্দির এলাকার এক মদ ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, মে মাসেই নতুন দোকানের জন্য লাইসেন্স নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই সময়ে তাঁকে জানানো হয়নি যে, এক মাসের মধ্যেই দোকানের লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়া হতে পারে। কেউ কেউ আবার এপ্রিল মাসেই লাইসেন্সের নবীকরণ করেছিলেন। সরকারের এই নয়া নির্দেশের জেরে অনেক ব্যবসায়ীরই এখন মাথায় বাজ পড়েছে। এখন তাঁরা দোকানের জন্য মজুত করা জিনিস নিয়ে কী করবেন, তা ভেবেই চিন্তায় পড়েছেন।
এই অবস্থায় ব্যবসায়ীদের সমস্যা প্রসঙ্গে আবগারি দফতরের প্রধান জানিয়েছেন যে, ‘লাইসেন্স ফি বাবদ যে টাকা নেওয়া হয়েছে তা ফেরত দিয়ে দেওয়া হবে। মৌখিকভাবে সব ব্যবসায়ীদের জানানো হয়েছিল, খুব বেশি পরিমাণে মজুত না করতে। কারণ যেকোনো সময়ে সরকারের নির্দেশ আসতে পারে। যে দোকানে মদ পাওয়া যাবে সেই দোকান সিল করে দেওয়া হবে।’ উল্লেখ্য, মার্চেই লটারি করে মদের দোকানের মালিকানা দেওয়া হয়েছিল আগ্রহী ব্যবসায়ীদের। সেইসব দোকানও বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেই জানিয়েছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার।
আপনার মতামত লিখুন :