শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

ধর্ষককে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে নিলেন একদল মহিলা! তারপর যা হল তা কল্পনাতীত

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: মার্চ ১৬, ২০২২, ১০:৫৪ পিএম | আপডেট: মার্চ ১৭, ২০২২, ০৫:১৬ এএম

ধর্ষককে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে নিলেন একদল মহিলা! তারপর যা হল তা কল্পনাতীত
ধর্ষককে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে নিলেন একদল মহিলা! তারপর যা হল তা কল্পনাতীত / প্রতীকী ছবি

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ধর্ষণ এদেশের বড় বড় সমস্যাগুলির মধ্যে অন্যতম একটি সমস্যা। প্রতিনিয়ত দেশের কোথাও না কোথাও একজন নারী বা শিশুকন্যা ধর্ষিত হচ্ছেন। অনেকেই বলেন যে, ভারতে ধর্ষণ নিয়ে কড়া আইন নেই, তাই প্রতিদিন এই জঘন্য অপরাধ বেড়েই চলেছে। 

অনেক সময় আবার এও দেখা গেছে যে, ধর্ষণে অভিযুক্ত ধরা পড়লেও, তাঁর শাস্তি হতে হতে অনেকটা সময় কেটে যায়। কিন্তু এই দেশেরই এক রাজ্যে নাবালিকা ধর্ষণকে কেন্দ্র করে যা ঘটল, তাতে অনেকেই হতভম্ব হয়ে গিয়েছেন। ত্রিপুরাতে একদল মহিলাই ধর্ষণকারীকে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে নিয়ে নিলেন। দেশের আইন, আদালত, বিচারের জন্য অপেক্ষা করলেন না। তাঁরা যা করেছেন, দেশের আইন তার অনুমতি দেয় না। কিন্তু তাঁরা আইনের পরোয়া না করেই একজন ধর্ষককে শাস্তি দেওয়ার দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়েছেন।

ত্রিপুরাতে ৪৬ বছর বয়সী ধর্ষণে অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে বুধবার একদল মহিলা গাছে বেঁধে চরম শাস্তি দিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, ধর্ষণে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে গাছে বেঁধে মৃত্যু পর্যন্ত বেধড়ক মারধর করেছেন ওই মহিলারা। মারের জেরে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। ত্রিপুরার ঢালাই গণ্ডচেরা থানা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি এর আগে ৮ বছর জেল খেটেছে। মঙ্গলবার দুপুরে ওই ব্যক্তি নিজের মায়ের সঙ্গে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে এসেছিল। সেখানেই পাঁচ বছরের এক শিশুকন্যাকে পাশের একটি জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে সে ওই নাবালিকার উপর শারীরিক নির্যাতন করে। পরে সেখানেই ওই নাবালিকাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। 

অন্যদিকে, ওই শিশুকন্যার কান্নার আওয়াজ শুনে স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে নাবালিকাকে উদ্ধার করে এবং শিশুটিকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করে। স্থানীয়দের দাবি, মেয়েটিকে শেষবার ওই জেলখাটা আসামির সঙ্গেই দেখা গিয়েছিল। সেই জন্যই যাবতীয় সন্দেহ স্বাভাবিকভাবেই ওই ব্যক্তির উপরই গিয়ে পড়ে। তাই ওই ব্যক্তির গ্রেফতারি দাবি করে স্থানীয় হাইওয়ে অবরোধও করা হয়েছিল। এরপর আজ অর্থাৎ বুধবার স্থানীয় মহিলারা তাঁকে গ্রামে ধরে ফেলেন। এরপর তাঁকে গাছের সঙ্গে বেঁধে চলে বেধড়ক মারধর। এই মারধরের ঘটনার ভিডিও ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়াতেও ভাইরাল হয়েছে। মারের চোটে একসময় ওই ব্যক্তি অচৈতন্য হয়ে পড়ে। এরপর তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।