রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

প্রজাতন্ত্র দিবসে দীর্ঘ কর্মজীবন থেকে অবসর নিল ‘বিরাট’! তাকে বিদায় জানালেন মোদী-কোবিন্দ

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৬, ২০২২, ০৮:৩০ পিএম | আপডেট: জানুয়ারি ২৬, ২০২২, ০৯:০০ পিএম

প্রজাতন্ত্র দিবসে দীর্ঘ কর্মজীবন থেকে অবসর নিল ‘বিরাট’! তাকে বিদায় জানালেন মোদী-কোবিন্দ
প্রজাতন্ত্র দিবসে দীর্ঘ কর্মজীবন থেকে অবসর নিল ‘বিরাট’! তাকে বিদায় জানালেন মোদী-কোবিন্দ

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে ৭৩ তম প্রজাতন্ত্র দিবস। করোনা বিধি মেনেই, এবারও দিল্লির রাজপথে পালিত হয় প্রজাতন্ত্র দিবস। করোনার কারণে এবারের প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানেও কাটছাঁট করা হয়। এবার নেই কোনও বিদেশি অতিথি। আর এদিনই দীর্ঘ কর্মজীবন থেকে অবসর নিল রাষ্ট্রপতির দেহরক্ষী ঘোড়সওয়ার বাহিনীর গর্ব ‘বিরাট’।


এদিন অর্থাৎ বুধবার ‘আজাদি কি অমৃত মহোৎসব’ উৎসবের সূচনা করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে এই প্রথম ফ্লাইপাস্ট করল বায়ুসেনাত ৭৫টি বিমান, কপ্টার। মার্চ পাস্টে দেখা গেল প্রথমবার দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ১ হাজার ড্রোনকে। পাশাপাশি, আজই রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের দেহরক্ষী ঘোড়সওয়ারি বাহিনীর ঘোড়া ‘বিরাট’ অবসর গ্রহণ করল। তার কর্মজীবন সুদীর্ঘ ১৯ বছরের। রাষ্ট্রপতির দেহরক্ষী কমান্ড্যান্ট কর্নেল অনুপ তিওয়ারির সওয়ারি ছিল হ্যানভেরিয়ান প্রজাতির ঘোড়া বিরাট। এ বছর তাকে দেওয়া হয় চিফ অফ আর্মি স্টাফ কমেন্ডেশন মেডেল। রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এই অনুষ্ঠানে তার পিঠ চাপড়ে তাকে বিদায় জানান। দেশের মধ্যে বিরাটই প্রথম ঘোড়া যে তার যোগ্যতা ও অসাধারণ সেবার জন্য এই সম্মান পেল।


উল্লেখ্য, বিরাটের ট্রেনিং সম্পন্ন হয়েছে হেমপুরের রিমাউন্ট ট্রেনিং স্কুলে। ২০০৩ সালে রাষ্ট্রপতির দেহরক্ষীর বাহন হিসেবে যোগ দিয়েছিল বিরাট। রাষ্ট্রপতির কনভয়কে এসকর্টের অভিজ্ঞতা আছে বিরাটের। পিবিজি-এর ২০০ ঘোড়ার মধ্যে বিরাট সেরা। সার্ভিসে থাকাকালীন দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিল, প্রণব মুখোপাধ্যায় সহ বর্তমান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকেও এসকর্ট করে নিয়ে এসেছে বিরাট।

 


এদিন করোনাবিধি মেনে দিল্লির রাজপথে অনুষ্ঠিত হয় কুচকাওয়াজ। ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়ালে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়ালে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন রীতি মেনে, আটারি-ওয়াঘা সীমান্তে মিষ্টি বিনিময় করলেন ভারত ও পাকিস্তানের সেনা। দিল্লির রাজপথে দেখা যায় ফৌজের সেঞ্চুরিয়ান ট্যাঙ্ক, পিটি-৭৬, অর্জুন এমকে-ওয়ান ট্যাঙ্কও। শুধু তাই নয়, এদিন দিল্লির রাজপথে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে সম্মান প্রদর্শন করে কেন্দ্র। নগরান্নয়ন মন্ত্রকের পক্ষ থেকে তৈরি করা হয়েছিল বিশেষ ট্যাবলো। সেখানে তাঁর আবক্ষ মূর্তির পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে তাঁর অবদান তুলে ধরা হয়েছিল। সঙ্গে শোনা যায় নেতাজির কণ্ঠস্বরও।