শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

খবরের শিরোনামে উত্তরপ্রদেশ! ফের দলিত কন্যাকে ধর্ষণ, অপমানে চরম সিদ্ধান্ত নিল নাবালিকা

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: মে ৫, ২০২২, ১২:২২ পিএম | আপডেট: মে ৫, ২০২২, ০৭:১৫ পিএম

খবরের শিরোনামে উত্তরপ্রদেশ! ফের দলিত কন্যাকে ধর্ষণ, অপমানে চরম সিদ্ধান্ত নিল নাবালিকা
খবরের শিরোনামে উত্তরপ্রদেশ! ফের দলিত কন্যাকে ধর্ষণ, অপমানে চরম সিদ্ধান্ত নিল নাবালিকা / প্রতীকী ছবি

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ যোগী রাজ্যে ফের ধর্ষণের শিকার নাবালিকা। ললিতপুরের পর এবার ফতেপুরের এক দলিত নাবালিকা ধর্ষিতা হল। ১৫ বছরের ওই নাবালিকা অপমানে শেষপর্যন্ত নিজেকে শেষ করে দিল।

পুলিশ সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সন্ধের সময় ফতেপুরের চাঁদপুর এলাকার বাসিন্দা ওই নাবালিকা পাশের জঙ্গলে শৌচকর্ম করতে যায়। কিন্তু অনেক সময় কেটে গেলেও সে বাড়ি না ফেরায়, খোঁজাখুঁজি শুরু করেন পরিবারের সদস্যরা। এরপর রাতের দিকে জঙ্গলেই ওই নাবালিকাকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পাওয়া যায়। অভিযোগ, ওই নাবালিকাকে জঙ্গলে একা পেয়ে, ধর্ষণ করে স্থানীয় এক যুবক। ফতেপুরের পুলিশ সুপার রাজেশ কুমার সিং জানিয়েছেন, সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করে নাবালিকাকে হাসপাতালে ভরতি করেন স্থানীয় বাসিন্দারাই।  

কিন্তু পরের দিনই অপমানে আত্মহননের পথ বেছে নেয় সে। এই দফায় তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। তবে, মৃত্যুর আগে ওই নির্যাতিতা নাবালিকা হাসপাতালের চিকিৎসকদের কাছে ধর্ষকের নাম বলে গিয়েছে বলেই জানিয়েছেন ফতেপুরের পুলিশ সুপার রাজেশ কুমার সিং। নির্যাতিতার মৃত্যুর আগে দেওয়া বয়ান এবং তাঁর বাবা-মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষণের মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এরপর অভিযুক্ত যুবককেও গ্রেফতার করা হয়।  

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশের ললিতপুরের ধর্ষণকাণ্ড এখনও চর্চায়। সেই ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। গত ২২ এপ্রিল চার যুবক ১৩ বছরের এক নাবালিকাকে ভোপালে নিয়ে গিয়ে চারদিন ধরে গণধর্ষণ করে। পরে তাকে তার গ্রামে ফেলে যায়। এরপর থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে, পরের দিন গোপন জবানবন্দি নেওয়ার নাম করে ফের ডাকা হয়। পরের দিন নির্যাতিতা তার এক আত্মীয়ার সঙ্গে গেলে, থানার এক আধিকারিক আলাদা ঘরে ডেকে নিয়ে ফের ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। সেই ঘটনায় ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশ সরকারকে নোটিস দিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। জানা গিয়েছে, এফআইআর-এ অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিকের পাশাপাশি ওই আত্মীয়ার নামও আছে। 

এদিকে, অভিযুক্ত স্টেশন হাউস অফিসার তিলকধারী সরোজ ঘটনার পর থেকেই পলাতক। তাকে ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড করা হয়েছে। এই মুহূর্তে অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিকের খোঁজে পুলিশের তিনটি দল তল্লাশি শুরু করেছে। ললিতপুর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ধর্ষণ ছাড়াও অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা দায়ের করাও হয়েছে। ললিতপুরের পুলিশ সুপার নিখিল পাঠক জানিয়েছেন, একটি এনজিও ওই নির্যাতিতা নাবালিকাকে তাঁর অফিসে নিয়ে আসে৷ এর পরই অভিযুক্ত অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়৷ ওই এনজিওতেই আপাতত রয়েছে ওই নাবালিকা। অন্যদিকে, গণধর্ষণে অভিযুক্ত চারজনের মধ্যে ইতিমধ্যেই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ওই ঘটনায় ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশ সরকারকে নোটিস দিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। পাশাপাশি বিরোধীরাও সরব হয়েছে। এদিকে, এই ঘটনার মধ্যেই ফের ফের নাবালিকা ধর্ষণ এবং নির্যাতিতার মৃত্যুতে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিরোধীরা।