শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

লুডো খেলায় নিজেকেই বাজি! হেরে স্বামীকে ছেড়ে বাড়িওয়ালার সঙ্গে ‘সংসার’ মহিলার

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৬, ২০২২, ১২:২৪ পিএম | আপডেট: ডিসেম্বর ৬, ২০২২, ০৬:৪৩ পিএম

লুডো খেলায় নিজেকেই বাজি! হেরে স্বামীকে ছেড়ে বাড়িওয়ালার সঙ্গে ‘সংসার’ মহিলার
লুডো খেলায় নিজেকেই বাজি! হেরে স্বামীকে ছেড়ে বাড়িওয়ালার সঙ্গে ‘সংসার’ মহিলার

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ মহাভারতে শকুনির বিরুদ্ধে পাশা খেলায় পঞ্চ পাণ্ডবের স্ত্রী দ্রৌপদীকে বাজি রাখার কথা আমরা জানি। সেই বাজিতে হেরেছিলেন যুধিষ্ঠির। এবার মহাভারতের সেই অন্ধকারময় অধ্যায়ের ছায়া ফিরে এল আধুনিক ভারতে। তবে, এবার আর পাশা খেলা নয়, এবার বাজি ধরা হয় লুডো খেলায়। আরও একটা পার্থক্য আছে, এবার স্বামী নন, স্ত্রী নিজেই নিজেকে বাজি ধরেছেন। যথারীতি বাজি ধরে হেরেওছেন।

আসলে লুডো খেলায় নিজেকেই বাজি ধরেন ওই মহিলা। হেরে গিয়ে বাড়িওয়ালার সঙ্গে থাকতে শুরু করছেন ওই মহিলা। এমনই অভিযোগ করেছেন ওই মহিলার স্বামী। নিজের স্ত্রীকে ফেরাতে না পেরে অবশেষে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন স্বামী। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে যোগীরাজ্যের প্রতাপগড় জেলায়। এই ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল ৬ মাস আগে।

জানা গিয়েছে, প্রতাপগড়ের দেবকালী এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন রেণু ও তাঁর স্বামী। ৬ মাস আগে কাজের সূত্রে রাজস্থানের জয়পুরে চলে যান রেনুর স্বামী। প্রতাপগড়ের বাড়িতে একাই থেকে যান রেণু। এদিকে, লুডো খেলায় আসক্তি ছিল তাঁর। স্বামীর অনুপস্থিতিতে তিনি বাড়িওয়ালার সঙ্গে নিয়মিত বাজি ধরে লুডো খেলা শুরু করেছিলেন। জয়পুর থেকে সংসার খরচ চালানোর জন্য তাঁর স্বামী টাকা পাঠাতেন। এদিকে, রেণু তার সবটাই লুডো খেলার বাজিতে লাগাতেন। একদিন লুডো খেলার সময় হাতের সব টাকা ফুরিয়ে যাওয়ায়, রেণু নিজেকেই বাজি ধরেছিলেন বলে দাবি করেছেন তাঁর স্বামীর। সেই খেলাতেও হেরে যাওয়ার পর থেকেই দুই সন্তানের মা রেণু, বাড়িওয়ালার সঙ্গে থাকতে শুরু করেন।

যদিও পরে রেণু নিজের স্বামীকে ফোনে পুরো ঘটনা খুলে বলেন। এরপরই স্বামী প্রতাপগড়ে ফিরে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। থানায় অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি তিনি সোশ্যাল মিডিয়াতেও ঘটনাটি জানিয়েছেন। কিন্তু রেনুর স্বামীর দাবি, তিনি রেনুকে অনেকবার নানাভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন, বাড়িওয়ালাকে ছেড়ে আসার জন্য। কিন্তু, তা করতে কোনভাবেই রাজি নন রেণু। অভিযোগ, স্বামীর কোনও কথাই শুনছেন না তিনি। এই অবস্থায় স্ত্রীকে ফিরে পেতে পুলিশ প্রশাসনই এখন তাঁর একমাত্র ভরসা রেণুর স্বামী।

অন্যদিকে, এই ঘটনা প্রসঙ্গে সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে, সুবোধ গৌতম নামে এক পুলিশ আধিকারিককে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, “আমরা লোকটির (বাড়িওয়ালা) সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার পরই আমরা তদন্ত শুরু করব।”