বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ঝাড়খণ্ডের দেওঘরে ভয়াবহ রোপওয়ে দুর্ঘটনা। জানা গিয়েছে, রোপওয়ে কেবল কারের মধ্যে মুখোমুখি ধাক্কা লাগার কারণে একাধিক পর্যটক আহত হয়েছেন। এর মধ্যে দুই মহিলা পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। এখনও ঘটনাস্থলে আটকে রয়েছেন অনেক যাত্রী।
ঝাড়খণ্ডের দেওঘরে রোপওয়ে দুর্ঘটনায় প্রায় ৮ জন আহত হয়েছেন। পাশাপাশি ট্রলিতে আটকে অন্তত ৪৮ জন পর্যটক। জানা গিয়েছে, এর মধ্যে কয়েকজন আবার মালদার বাসিন্দা হতে পারে।
এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর সঙ্গে সঙ্গে তৎপরতার সঙ্গে শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। জানা গিয়েছে, মোট ১২ টি রোপওয়ে কেবিনে এখনও অনেক পর্যটক আটকে রয়েছেন বলেই খবর। তাঁদের উদ্ধারের জন্য নামানো হয়েছে আধাসেনা এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যদের। আতঙ্কে ঘুম ছুটেছে পরিজনদের। পাশাপাশি বায়ুসেনার হেলিকপ্টারেরও সাহায্য নেওয়া হচ্ছে উদ্ধার কাজে। জানা গিয়েছে প্রায় ৪৮ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে রোপওয়েতে আটকে রয়েছেন পর্যটকরা। অত্যাধিক হাওয়ার কারণে উদ্ধারকাজে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে বলে খবর। যদিও ইতিমধ্যেই অনেক পর্যটককে উদ্ধার করা হয়েছে বলেই খবর। মনে করা হচ্ছে, আর কিছু সময়ের মধ্যেই বাকিদেরও উদ্ধার করা সম্ভব হবে।
এদিকে, স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, যান্ত্রিক গোলযোগের জন্যই দুর্ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন। দুর্ঘটনার পরে আতঙ্কে কেবল কার থেকে লাফ দেন এক দম্পতি। এর জেরে তাঁরা গুরুতর আহত হয়েছেন। এই মুহূর্তে তাঁরা হাসপাতালে ভর্তি।
সূত্রের খবর, এই সময় অনেকেই ত্রিকূট পাহাড়ে দর্শনের জন্য যান। পাহাড়ি এলাকায় যাওয়ার জন্য রোপওয়ে ব্যবহার করা হয়। তাতে করেই যাচ্ছিলেন পর্যটকরা। কিন্তু মাঝপথেই একটি রোপওয়ে ভেঙে পড়ে। এতেই দুই মহিলা পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। আহতদের মধ্যেই অনেকেরই আঘাত গুরুতর বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে, দেওঘরের ডেপুটি কমিশনার বৈজনাথ ভজনত্রি বলেন, ‘পর্যটকদের উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে এনডিআরএফ। কয়েকজন পর্যটক কেবল কারে আটকে রয়েছে।’ এই দুর্ঘটনার খবর পেয়ে, দুঃখপ্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যসচিব সুখদেও সিংয়ের থেকে তিনি ঘটনার বিবরণ নিয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :