বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ জঙ্গি দমনে ফের সাফল্য পেল নিরাপত্তাবাহিনী। জম্মু ও কাশ্মীরে খতম আল বদর জঙ্গি গোষ্ঠীর দুই সন্ত্রাসবাদী। এই দুই জঙ্গি উপত্যকায় একাধিক পরিযায়ী শ্রমিক হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়েছেন কাশ্মীর পুলিশের আইজিপি বিজয় কুমার।
পুলিশ সূত্রে খবর, বিধবার দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার মিতরিগাম এলাকায় জঙ্গিদের গোপন ডেরার সন্ধান পায় নিরাপত্তাবাহিনী। এরপরই দ্রুত জঙ্গিদমন অভিযানের পরিকল্পনা স্থির করে ফেলা হয়। গভীর রাতে জঙ্গিদের ঘাঁটিতে হানা দেয় পুলিশ, আধাসেনা এবং ফৌজের যৌথবাহিনী।
এদিকে, নিরাপত্তাবাহিনীর উপস্থিতি বুঝতে পেরেই গুলি চালাতে শুরু করে সন্ত্রাসবাদীরা। নিরাপত্তাবাহিনীর পক্ষ থেকেও গুলির পাল্টা জবাব দেওয়া হয়। প্রায় সারারাত চলে এনকাউন্টার। এরপর দুই জঙ্গির মৃত্যু হয়। আইজিপি বিজয় কুমার জানিয়েছেন যে, নিহত জঙ্গিরা জঙ্গি গোষ্ঠী আল-বদরের সদস্য। তাদের নাম আইজাজ হাফিজ ও শাহিদ আয়ুব। ঘটনাস্থল ইয়থেকে উদ্ধার হয়েছে দুটি একে-৪৭ রাইফেল।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিককালে কাশ্মীরে ফের সক্রিয় হয়েছে জঙ্গি গোষ্ঠী আল বদর। বিশেষ করে আফগানিস্তানে তালিবান ক্ষমতায় আসার পর থেকেই জম্মু ও কাশ্মীরে এই জেহাদি গোষ্ঠীর কার্যকলাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। এবার জেহাদিরা পরিযায়ী শ্রমিকদের নিশানা করছে। তবে, সেনাবাহিনী ক্রমাগত জঙ্গিদমন অভিযান চালানোয়, তাদের নাশকতার ছক বানচাল হয়ে যাচ্ছে। ২০২১ সালের মার্চ মাসে জম্মু ও কাশ্মীরে খতম করা হয় আল-বদর- এর প্রধান গানি খোয়াজাকে। গানি খোয়াজা কাশ্মীরের হানদওয়ারার বাসিন্দা ছিল।
এরপর ২০১৮ সালের আগস্টে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে একটি মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল এই জঙ্গি সংগঠনের পক্ষ থেকে। সেই মিছিলেই জম্মু ও কাশ্মীরে সংগঠন গড়ে তোলার ডাক দেওয়া হয়েছিল। মিছিল থেকে আরও দাবি করা হয় যে, আগামীদিনে এই জেহাদি সংগঠনই কাশ্মীরের কণ্ঠ হয়ে উঠবে। তখন ভারতীয় গোয়েন্দাদের পক্ষ থেকেও দাবি করা হয়, কাশ্মীরে সংগঠন তৈরি করতে গেলে আল বদরকে আর্থিক সাহায্য করছে লস্কর-ই-তইবা ও জইশ-ই-মহম্মদ৷ এখানেই শেষ নয়, এই সংগঠনের সদস্যদের পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের বিভিন্ন ক্যাম্পে প্রশিক্ষণও দেওয়া হয় জানা গিয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :