শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

আজ সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক রাহুলের, থাকবেন গেহলটও, কে হচ্ছেন রাজস্থানের নয়া মুখ্যমন্ত্রী?

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২২, ০৯:২৮ এএম | আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২২, ০৩:৪৫ পিএম

আজ সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক রাহুলের, থাকবেন গেহলটও, কে হচ্ছেন রাজস্থানের নয়া মুখ্যমন্ত্রী?
আজ সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক রাহুলের, থাকবেন গেহলটও, কে হচ্ছেন রাজস্থানের নয়া মুখ্যমন্ত্রী?

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ এই মুহূর্তে ভারত জোড়ো যাত্রা দক্ষিণের রাজ্য কেরলের ত্রিশুরে পৌঁছেছে। তবে, আজ এই যাত্রার বিশ্রামের দিন। সেই কারণে আজ দিল্লিতে এসেছেন রাহুল গান্ধী। সূত্রের খবর, আজ দিল্লিতে সোনিয়া গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক করবেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী। এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট।

সূত্রের খবর, আজকের বৈঠকে আলোচনা হবে,কে হবেন রাজস্থানের আগামী মুখ্যমন্ত্রী সেই বিষয়ে। তার কারণ কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন অশোক গেহলট। আগামী ১৭ অক্টোবর কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন। আর শনিবার শুরু মনোনয়ন পেশ।

তাছাড়া ইতিমধ্যেই রাহুল গান্ধী রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা অশোক গেহলটের সরাসরি নাম না নিয়ে, তাঁকে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন যে, প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। তাঁর বার্তা-দলের ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ মেনে চলতে হবে। অর্থাৎ একই সঙ্গে কংগ্রেস সভাপতি এবং রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী- এই দ্বৈত ভুমিকায় থাকতে পারবেন না গেহলট। বৃহস্পতিবার কেরলে এক সাংবাদিক বৈঠক করে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘আমরা উদয়পুরে একটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, আমি আশা করি তা বজায় থাকবে।’ তাই সূত্রের খবর, আজকের বৈঠকে রাজস্থানের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর নাম অনুমোদন হতে পারে।

এদিকে, কংগ্রেসের সভাপতি পদের নির্বাচনে অশোক গেহলটের প্রার্থী হওয়া একপ্রকার পাকাই। এমনকি বুধবার সন্ধ্যাতেও তিনি সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখাও করেন এ বিষয়ে। গান্ধী পরিবার এবং তাঁদের ঘনিষ্ঠরা চাইছেন, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীকে প্রার্থী করতে। তবে, অশোক গেহলট নিজে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রিত্বের রাজপাট ছেড়ে কংগ্রেসের সভাপতি হতে রাজি নন খুব একটা। আবার সোনিয়া গান্ধীর যদি নির্দেশ আসে, সেটা উপেক্ষা করাটাও সহজ হবে না গেহলটের জন্য। এনিয়ে এর আগে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি জানিয়েছিলেন যে, তিনি কোথাও যাচ্ছেন না। যদিও কংগ্রেসের উদয়পুর চিন্তন শিবিরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, দলে ও প্রশাসনে একটি করে পদেই থাকবেন কংগ্রেস নেতারা। অশোক গেহলট ছাড়া, এই পদের দৌড়ে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে শোনা যাচ্ছে শশী থারুর, দিগ্বিজয় সিং, মণীশ তিওয়ারি প্রমুখের নাম।

এদিকে, রাজস্থানের পঞ্চায়েতি রাজ এবং গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী রাজেন্দ্র গুড়া ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, যদি মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট দলের জাতীয় সভাপতি হন এবং রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন, আর তাঁর জায়গায় যদি শচীন পাইলট মুখ্যমন্ত্রী পদে নির্বাচিত হন এবং তাঁকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী করা হয়। তাহলে সেক্ষেত্রে তিনি এবং অন্য পাঁচজন বিধায়ক তার বিরোধিতা করবেন না। উল্লেখ্য, গুড়া সেই ছয় বিধায়কের একজন যারা বিএসপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। রাজেন্দ্র গুড়া বলেন, ‘আমাদের কংগ্রেসের নেতারা সোনিয়াজি, রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী যে সিদ্ধান্ত নেবেন, তা তাঁরা সবাই মেনে নেবেন।’

প্রথম দিকে সভাপতি নির্বাচনে অরাজি থাকলেও, পরে শোনা যায় যে, তিনি নির্বাচনী লড়াইয়ে নামবেন। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার ‘এক ব্যক্তি এক পদ’-এর প্রতিশ্রুতি রক্ষাই শুধু নয়, এর পাশাপাশি ভাবি কংগ্রেস সভাপতির জন্য এদিন আরও কিছু বার্তা দিয়েছেন প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী। তিনি জানিয়েছেন, কংগ্রেস সভাপতির পদকে একটি আদর্শিক পদ হিসাবে দেখতে হবে। এদিন তিনি বলেন, ‘যিনিই কংগ্রেস প্রধান হবেন, তাঁকে মনে রাখতে হবে যে তিনি একটি ধারণার, একটি বিশ্বাসের, ভারতের দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিনিধিত্ব করছেন।’ এই পরিস্থিতিতে, খুব বড় কোনও অঘটন না হলে, কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনের লড়াইয়ে নামছেন গেহলট। এখন দেখার যে, নয়া কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচিত হলে, তিনি কি মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়বেন? নাকি সোনিয়ার আশীর্বাদে দুই দায়িত্বই একসঙ্গে পালন করবেন! সেটাই দেখার।