শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

এই গ্রামের প্রধান পেশাই হল সাপ চাষ! শুনলে অবাক হতে বাধ্য

মৌসুমী মোদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২২, ১০:৩১ পিএম | আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২২, ০৪:৩১ এএম

এই গ্রামের প্রধান পেশাই হল সাপ চাষ! শুনলে অবাক হতে বাধ্য
এই গ্রামের প্রধান পেশাই হল সাপ চাষ! শুনলে অবাক হতে বাধ্য / প্রতীকী ছবি

সাপ অন্যতম বিষধর জীব। সাপকে ভয় পায় না এমন মানুষ মেলা ভার। সাপের ছোবলে নিত‌্যই প্রাণ হারান অনেকে। তবে বিশ্বে এমন এক গ্রাম রয়েছে যেখানে সাপের সঙ্গে বসত করে মানুষ। এমনিতেই অধিকাংশ মানুষকেই সাপকে ভয় করতে দেখা যায়। সাপ দেখলেই গা শিরসিরিয়ে ওঠে। কিন্তু এইসবের মাঝেই সাপের চাষ মূল পেশা হিসাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে চিনের জিসিকিয়াও গ্রামে। শুধু তাই নয় সাপ চাষের জন্য এই গ্রামটি বিশ্ব সেরা।

গ্রামে গেলেই সেটা বেশ বোঝা যায়। বাড়ি বাড়ি বড় বড় কাঠের বাক্স। আর তার মধ্যে রীতিমতো কিলবিল করছে সাপ। অনেকে আবার গভীর চৌবাচ্চা করেও তাতে সাপ ছেড়ে রেখে দেন।এই গ্রামের বাড়ি বাড়ি বড় বড় কাঠের বাক্স রাখা হয় সাপ চাষের জন্য। আবার কোন কোন বাড়িতে বড় বড় চৌবাচ্চা তৈরি করে সেখানে সাপ চাষ করা হয়। এই সকল সাপের আবার বিষ নেই এমন নয়। প্রতিটি সাপই বিষধর। তবে অনেকের মধ্যেই প্রশ্ন জাগতে পারে এমন আজব চাষের কারণ কি?

আসলে সেগুলি চিলি চিকেনের মতো সয়া সস, পেঁয়াজ পাতা দিয়ে রান্না করা হয়। কখনও বা স্যুপের মতো করে বানানো হয়। খেতে অনেকটা যেন মাছ ও চিকেনের মাঝামাঝি। তবে একটু শক্ত। অন্যদিকে, সাপের পিত্তি, শরীরের বিভিন্ন অংশও খান অনেকে। সাপের দেহ মদের বোতলের মধ্যে পুরে রেখে দেওয়া হয়। সেটা পান করেন কেউ কেউ। মনে করা হয়, এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বহুগুণ বৃদ্ধি করে। শরীর সতেজ রাখে ও দীর্ঘায়ু হতে সাহায্য করে। তবে আধুনিক প্রজন্মের মধ্যে এ বিষয়ে সেভাবে আগ্রহ নেই।

কয়েক দশক আগে প্রথম ইয়াং হোঙচাঙ নামে এক ব্যক্তি এই সাপের ব্যবসা প্রথম শুরু করেছিলেন। তারপর তার রমরমা বাজার শুরু হলে বাকিরা দেখে এই ব্যবসায়ী নেমে যান এবং এই চাষ করে অনেকেই আছেন যারা ভারতীয় মুদ্রায় বছরে ১০ লাখ টাকা রোজগার করেন।

সাপচাষীরা জানাচ্ছেন, এক সময়ে জিসিকিয়াও গ্রামটার নামই কেউ জানত না। জানবেই বা কী করে! ছোট কৃষকদের নিয়ে সামান্য একটা গ্রাম। অনুন্নত এলাকা। সাধারণত আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের বাস। কিন্তু সাপের ব্যবসা করেই তাঁদের সবার কপাল ফিরে গিয়েছে। আগের তুলনায় গোটা গ্রামটাই যেন অনেক বেশি উন্নত হয়ে গিয়েছে। অনেকে এই সাপের কারবার থেকেই বছরে ১০ লক্ষ টাকার(ভারতীয় মুদ্রায়) কাছাকাছি আয় করেন।