শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

গুজরাট হিংসায় মোদীকে ক্লিনচিট! সুপ্রিম কোর্টে খারিজ জাকিয়া জাফরির মামলা

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: জুন ২৪, ২০২২, ১২:২৭ পিএম | আপডেট: জুন ২৪, ২০২২, ০৬:৩৩ পিএম

গুজরাট হিংসায় মোদীকে ক্লিনচিট! সুপ্রিম কোর্টে খারিজ জাকিয়া জাফরির মামলা
গুজরাট হিংসায় মোদীকে ক্লিনচিট! সুপ্রিম কোর্টে খারিজ জাকিয়া জাফরির মামলা

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ নির্দোষ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গুজরাট দাঙ্গা মামলায় তৎকালীন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী মোদীকে ক্লিনচিট দিয়েছিল সিট। সিটের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই গুজরাট হাইকোর্ট প্রধানমন্ত্রীকে নির্দোষ ঘোষণা করে। কিন্তু এরপরে গুজরাট হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই দাঙ্গায় মৃত কংগ্রেস সাংসদ এহসান জাফরির স্ত্রী জাকিয়া জাফরি। শুক্রবার তাঁর সেই মামলাও খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। 

২০০২ সালে গুজরাটে যে দাঙ্গা হয়েছিল তাতে নাম জড়িয়েছিল তৎকালীন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। যদিও সিটের তদন্তের ভিত্তিতে গুজরাট হাইকোর্টে তাঁকে ক্লিনচিট দেওয়া হয়। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই দাঙ্গায় মৃত কংগ্রেস সাংসদ এহসান জাফরির স্ত্রী জাকিয়া জাফরি। কিন্তু এবারেও সিটের ক্লিনচিট রিপোর্টই সুপ্রিম কোর্টে মান্যতা পেল। পাশাপাশি শীর্ষ আদালতের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, ক্লিনচিট খারিজের আর্জির কোনও সারবত্তা নেই। শুক্রবার শীর্ষ আদালতের বিচারপতি এএম খানউইলকর, বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি সিটি রবি কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ জানায় যে, ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গায় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বিশেষ তদন্তকারী দল যে ক্লিনচিট দিয়েছিল, তাই বহাল রাখা হচ্ছে।

প্রায় দুই দশক আগে গুজরাটের গোধরায় পুণ্যার্থী বোঝাই একটি ট্রেনের কামরায় আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় হয়। পরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়েছিল। এদিকে, ২০০২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আহমেদাবাদের গুলবার্গ সোসাইটিতে যে ৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল, তাঁর মধ্যে এহসান জাফরিও ছিলেন। তাঁর স্ত্রীর অভিযোগ ছিল, এই দাঙ্গায় মোদী এবং অন্যান্য আরও বেশ কয়েকজনের সক্রিয় ভূমিকা ছিল। এরপর গুজরাট হিংসায় বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠেছিল। আর তাতে সরাসরি নাম জড়ায় মোদী। কিন্তু তাঁকে তদন্তে ক্লিনচিট দেয় সিট। আর এবারও শীর্ষ আদালতে তিনি নির্দোষই প্রমাণিত হলেন। 

জাকিয়া জাফরির দায়ের করা স্পেশাল পিটিশনের সপক্ষে এদিন সওয়াল করেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। তিনি জানান, সিটের তদন্তে অনেক খামতি ছিল। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এড়িয়ে যাওয়া হয়েছিল। অন্যদিকে, সিটের তরফে হাজির ছিলেন আইনজীবী মুকুল রোহতগী। তিনি বলেন, শীর্ষ আদালতের উচিত ট্রায়াল কোর্ট এবং গুজরাট হাইকোর্টের সিদ্ধান্তকেই বহাল রাখা। তা না হলে এটি একটি অন্তহীন বিচার প্রক্রিয়ায় পরিণত হবে। এরপর মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, এই মামলা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। কাজেই মোদীর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগও ভিত্তিহীন।