শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

‘এই কঠিন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের পাশে রয়েছি’! ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে মোদীকে চিঠি মমতার

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২২, ০৪:৩২ পিএম | আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২২, ১০:৩৬ পিএম

‘এই কঠিন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের পাশে রয়েছি’! ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে মোদীকে চিঠি মমতার
‘এই কঠিন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের পাশে রয়েছি’! ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে মোদীকে চিঠি মমতার

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ইউক্রেনে এখনও আটকে ভারতীয় ও পড়ুয়ারা। এদিকে, রুশ সেনার ইউক্রেন আক্রমণের পর বেশ কয়েকদিন কেটে গেলেও, এখনও যুদ্ধ পরিস্থিতির কোনও উন্নতি নেই। যদিও রবিবারই রাশিয়া-ইউক্রেন উভয়েই যুদ্ধ পরিস্থিতি এবং তার সমাধান নিয়ে আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছে। জানা গিয়েছে, আজ বেলারুসে বসবে সেই আলোচনা। কিন্তু বৈঠকের কথা হলেও, এখনও ইউক্রেনে রুশ সেনার দাপট জারি রয়েছে। এই অবস্থায় ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রের পাশেই রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে এমনটাই জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিকে, ইউক্রেনে আটকে থাকা হাজার হাজার ভারতীয় পড়ুয়ারাই এখন ভারতের কাছে চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিকূলতার মধ্যেই রোমানিয়ার সীমান্তের কাছে তাঁদের দিন কাটছে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু সংখ্যক ভারতীয়কে দেশে ফেরানোও হয়েছে ‘অপারেশন গঙ্গা’র অধীনে। আজ সকালে ২৪৯ জন ভারতীয়কে নিয়ে রোমনিয়ার রাজধানী বুখারেস্ট থেকে দিল্লি এসে পৌঁছছে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান। ইউক্রেনের নাগরিকদের সঙ্গেই বাঙ্কারে প্রাণ হাতে নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন ভারতীয় নাগরিকরাও। এই আবহে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে ভারতীয়দের ফেরাতে বিভিন্ন মহল থেকে চাপ আসছে। যদিও ধাপে ধাপে ভারতীয়দের দেশে ফেরাচ্ছে কেন্দ্র। 

উল্লেখ্য, শান্তির পক্ষে সমর্থন জানিয়ে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে কোনও দেশেরই পক্ষ নেয়নি ভারত। এদিকে, গোটা গোটা বিশ্বের রাজনৈতিক পরিস্থিতি যাতে অন্যদিকে ঘুরে না যায়, তা নিয়েও উদ্বিগ্ন বহু দেশ। এই পরিস্থিতিতে ভারতের অবস্থান ঠিক করতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার আর্জি জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিও লিখেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। 

মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তাঁর চিঠি লিখেছেন, ‘বর্তমানে আমরা এক আন্তর্জাতিক সংকটের মুখোমুখি। তাই এই সময়ে সব মত-পার্থক্য পাশে সরিয়ে রেখে, একসুরে কথা বলা উচিত। ইউক্রেন নিয়ে আমাদের বিদেশনীতির প্রতি পূর্ণ আমার আস্থা রয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকেই আমরা বিশ্ব শান্তি ও আগ্রাসন নীতির বিপক্ষে। আশাকরি, এই নীতির উপরে ভিত্তি করেই আপনি আমাদের নেতৃত্ব দেবেন। ইউক্রেনে আটক ভারতীয় ও পড়ুয়াদের ফেরাতে আশাকরি আরও তৎপর হবে কেন্দ্র।’ 

এখানেই শেষ নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও লিখেছেন যে, ‘এই কঠিন পরিস্থিতিতে আমি আপানার পাশে রয়েছি। পাশাপাশি এই আন্তর্জাতিক সংকটের সময়ে পরিস্থিতি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও সর্বদল বৈঠক ডাকা যায় কিনা তা নিয়ে আপনাকে বিবেচনা করতে অনুরোধ জানাচ্ছি। বিশ্বের এক বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে এই সংকটের এক শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য ভারতের সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া উচিত।’

অন্যদিকে, ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাশাপাশি বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে পাঠানো হয়েছে ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশগুলিতে। জানা গিয়েছে, ইউক্রেনে আটকে থাকা ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনাদেকাজের তদারকি করবেন ওইসব মন্ত্রীরা। বিদেশযাত্রী ওইসব মন্ত্রীদের তালিকায় রয়েছেন হরদীপ সিং পুরি, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, কিরেন রিজিজু, কে ভি সিং প্রমুখ।