শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

ঋণ মেটাতে এই রাজ্যে নিলামে তোলা হচ্ছে মেয়েদের! বিস্ফোরক মানবাধিকার কমিশন

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৮, ২০২২, ০৪:৩৩ পিএম | আপডেট: অক্টোবর ২৮, ২০২২, ১০:৩৬ পিএম

ঋণ মেটাতে এই রাজ্যে নিলামে তোলা হচ্ছে মেয়েদের! বিস্ফোরক মানবাধিকার কমিশন
ঋণ মেটাতে এই রাজ্যে নিলামে তোলা হচ্ছে মেয়েদের! বিস্ফোরক মানবাধিকার কমিশন / প্রতীকী ছবি

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পারলে বা লেনদেন সংক্রান্ত সমস্যা মেটাতে মেয়েদের নিলামে তোলা হচ্ছে এবং বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে! এমনই ভয়ানক অভিযোগ সামনে এসেছে। রাজস্থানের কমপক্ষে ৬ টি জেলায় এমনই হচ্ছে বলে এক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর। আর এমন খবর পেতেই নড়েচড়ে বসেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে কমিশন। বৃহস্পতিবারই কংগ্রেস শাসিত রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়ে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চেয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। পাশাপাশি এই সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা করতে রাজস্থানের গেহলট সরকারকে ৪ সপ্তাহ সময় দিয়েছে কমিশন।

কমিশন সূত্রে খবর যে, কংগ্রেস শাসিত এই রাজ্যের একাধিক জেলায় সম্পত্তি সংক্রান্ত বিবাদ মেটাতে বা দুই পক্ষের মধ্যে লেনদেন সংক্রান্ত কোনও সমস্যা দেখা দিলে তা দূর করতে, ৮ থেকে ১৮ বছর বয়সি মেয়েদের ডেকে পাঠাচ্ছে স্থানীয় পঞ্চায়েত। তারপর বিচারে যে পক্ষ হারছে, সেই পক্ষের মেয়েদের স্ট্যাম্প পেপারে সই করিয়ে নিলামে তোলা হচ্ছে। নিলামে উপস্থিত ব্যক্তিদের মধ্যে সর্বোচ্চ দাম যিনি দিচ্ছেন, তাঁর হাত ঘুরে সেই মেয়ে দেশের মধ্যে বিভিন্ন রাজ্য যেমন- উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, মুম্বই, দিল্লির বিভিন্ন যৌনপল্লিতে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে বলেই অভিযোগ।

এখানেই শেষ নয়, কমিশনের কাছে এই মর্মে অভিযোগ জমা পড়েছে যে, মেয়েদের নিলামে তুলতে বাধা দেওয়া হলে, তাদের মায়েদের ধর্ষণ করার নিদান দেওয়া হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই কমিশনের উদ্বেগ, যদি ওই রিপোর্টের দাবি সত্যি হয়, তাহলে এই বিষয়ে কোনও দ্বিমত নেই যে, রাজস্থানে ব্যাপকভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে।

কমিশন রাজস্থানের মুখ্যসচিবকে পাঠানো চিঠিতে এই বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চেয়েছে। দেশের পঞ্চায়েতি রাজ আইন অনুসারে পঞ্চায়েতগুলি নারী এবং শিশু সুরক্ষায় কী ব্যবস্থা নিচ্ছে, সরকারের কাছে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। এছাড়াও, এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে যুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, রাজস্থান পুলিশের ডিজির কাছে জানতে চেয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।