শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

এবারের বাজেটে কি রেল ভাড়া বাড়তে চলেছে? আসন্ন বাজেটে নতুন কী কী পেতে চলেছে রেল

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৫, ২০২২, ১১:৩৭ এএম | আপডেট: জানুয়ারি ২৫, ২০২২, ০৮:৩১ পিএম

এবারের বাজেটে কি রেল ভাড়া বাড়তে চলেছে? আসন্ন বাজেটে নতুন কী কী পেতে চলেছে রেল
এবারের বাজেটে কি রেল ভাড়া বাড়তে চলেছে? আসন্ন বাজেটে নতুন কী কী পেতে চলেছে রেল

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ মারণ করোনার জেরে অনেক রাজ্যেই বন্ধ রয়েছে লোকাল ট্রেন। করোনার ভয়ে অনেকেই দূরপাল্লার ট্রেন সফরও বাতিল করেছেন। এর জেরে আয় কমেছে রেলের। এই পরিস্থিতিতে নতুন বছরে ২০২২-২০২৩ অর্থবর্ষে রেল বাজেট ঘোষণা হতে চলেছে ১ ফেব্রুয়ারি। দেশের এই রেল বাজেট নিয়ে যথেষ্ট চিন্তায় রয়েছেন দেশবাসী। কেমন হতে চলেছে নতুন রেল বাজেট, তা নিয়ে কিছুটা হলেও আশঙ্কায় রয়েছে দেশের মানুষ। কারণ করোনার কারণে রেলের আয় কমায় নতুন বছরে ঘুরপথে ট্রেনের ভাড়া কিছুটা বাড়িয়েছে রেল। উন্নত স্টেশনগুলিতে অত্যাধুনিক সুযোগ–সুবিধা এবং স্টেশনের আধুনিকীকরণের জন্য টিকিটের দামের উপর অতিরিক্ত ১০ থেকে ৫০ টাকা ধার্য হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। 


এরপরেও কি আসন্ন বাজেটে রেলের ভাড়া বাড়তে পারে? এই আশঙ্কাতেই এখন দেশের প্রতিটি জনগণ। আর যদি তেমনটা হয়, তাহলে মধ্যবিত্তের পকেটে টান পড়বে? এটা বলাই বাহুল্য। যদিও, সূত্রের খবর, আসন্ন বাজেটে রেল ভাড়া বাড়ছে না বলেই জানা গিয়েছে। তবে, প্রস্তাবিত দিল্লি-বারাণসী বুলেট ট্রেনের জন্য বরাদ্দ বাড়ানো হতে পারে। এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে রেলের এক উচ্চপদস্থ কর্তা বলেছেন, ‘যাত্রী ভাড়া বাড়ানোর কোনও প্রস্তাব আসেনি। তবে রাজস্ব বাড়ানোর দিকে রেল নজর দেবে’।


এর পাশাপাশি তিনি এও জানিয়েছেন যে, ২০২২ ন্যাশনাল রেল প্ল্যানের আওতায় দেশ জুড়ে হাই স্পিড রেল করিডোর বানানোর কাজ জোরকদমে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। এই পরিকল্পনার অধীনেই দিল্লি-বারাণসী বুলেট ট্রেন প্রকল্পের বাজেট বরাদ্দ বাড়ার সম্ভবনা রয়েছে। উল্লেখ্য, বর্তমানে মুম্বই এবং আহমেদাবাদের মধ্যে দেশের প্রথম বুলেট ট্রেন করিডোরের কাজ চলছে।


জানা গিয়েছে, বাজেটে চমক দিয়ে হাইপারলুপ প্রযুক্তির ঘোষণা করতে পারেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। রেল পরিবহন ব্যবস্থায় বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির মাধ্যম এটি। এই প্রযুক্তি চালু হলে কলকাতা থেকে রাজধানী দিল্লি, দেড় হাজার কিলোমিটারের পথ অতিক্রম করা যাবে মাত্র ২ ঘণ্টায়! দ্রুত গতিতে চালানোর জন্য টানেলের মধ্যে দিয়ে নির্দিষ্ট ট্র্যাকে ট্রেনকে ছোটানো হয়। এর পাশাপাশি দূরপাল্লার ট্রেনের ওজন কম করতে সেগুলিতে অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি কোচ যুক্ত করা হতে পারে। শুধু তাই নয়, বিদ্যুৎ আর ডিজেলের উপর নির্ভরতা কম করার জন্য সরকার দ্রুতই দেশে হাইড্রোজেন, বায়োফুয়েল আর সৌরশক্তিতে চলা ট্রেন চলাচল শুরু করতে পারে আর তা নিয়ে বাজেটেও ঘোষণা করা হতে পারে।


আসন্ন বাজেটে রেলের পরিকাঠামোর উন্নতিতে প্রায় আড়াই লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করতে পারে কেন্দ্র সরকার। গত বছরের বাজেটে রেলের জন্য বরাদ্দ ব্যয় ছিল ২.১৫ লক্ষ কোটি টাকা। যার মধ্যে ৭৫০০ কোটি টাকা অভ্যন্তরীণ সংস্থান থেকে এবং ১ লক্ষ কোটি টাকা অতিরিক্ত বাজেটের সংস্থান থেকে এসেছে। আরও ১.০৭ লক্ষ কোটি টাকা এসেছে গ্রস বাজেট সাপোর্ট থেকে। ২০২৩ অর্থবর্ষের মধ্যে দেশের রেল রুটকে ১০০ শতাংশ ইলেক্ট্রোফায়েড করার লক্ষ্য নিতে পারে কেন্দ্র সরকার। এটা নিয়েও বাজেটে ঘোষণা হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। বরাদ্দের বেশিরভাগ অর্থ এতেই খরচ করা হবে, এমনটাই জনিয়েছেন এক রেল আধিকারিক। এছাড়া হাই স্পিড করিডোর এবং সিগন্যালিং সিস্টেমের আধুনিকীকরণেও বরাদ্দের অনেকটা ব্যয় হবে বলে মনে করা হচ্ছে।