শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

শুরু হল পুরীর জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা উৎসব, সাধারণ দর্শনার্থীর জন্য বন্ধ মন্দিরের দরজা

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: জুন ১৩, ২০২২, ০৩:৩৫ পিএম | আপডেট: জুন ১৩, ২০২২, ০৯:৪৮ পিএম

শুরু হল পুরীর জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা উৎসব, সাধারণ দর্শনার্থীর জন্য বন্ধ মন্দিরের দরজা
শুরু হল পুরীর জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা উৎসব, সাধারণ দর্শনার্থীর জন্য বন্ধ মন্দিরের দরজা

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে শুরু হয়েছে জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা উৎসব। আর এই উপলক্ষে ফের একবার সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ করা হল মন্দিরের যাত্রা। জানা গিয়েছে, সোমবার বেলা ৩ টে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে জগন্নাথদেবের মন্দির। 

এই সময় মন্দির চত্বরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না কোনও দর্শনার্থীকে। রথযাত্রার আগে এদিন থেকেই পুরীর মন্দিরে শুরু হচ্ছে বিশেষ ‘সেনাপাতা লাগি’ অনুষ্ঠান। এবার জেনে নেওয়া যাক, কী এই সেনাপাতা লাগি অনুষ্ঠান? জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শ্রীমন্দিরে এদিন থেকেই স্নানযাত্রার আচার-অনুষ্ঠান শুরু হয়। যেখানে জগন্নাথদেব, বলরাম এবং সুভদ্রার বিগ্রহকে স্নান করানোর জন্য বকুল গাছের পাতা ব্যবহার করা হয়। বিগ্রহের গলায় চারমালা পরানো হয়। এই রীতি মন্দিরের সেবায়েতরা পালন করে থাকেন। 

এদিন বিকেল ৪ টে নাগাদ জগন্নাথ মন্দিরে পালিত হয় ‘পাহান্ডি’ অনুষ্ঠান। পাশাপাশি ‘দিব্য স্নান’ এবং ‘গজ বেশ’-এর পর জগন্নাথদেব, বলরাম ও সুভদ্রার সামনে বিশেষ পুজো অর্পিত হয়। 

উল্লেখ্য, অতি সম্প্রতি পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে পালিত হয়েছে বিশেষ অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানের নাম ‘বানাকা লাগি’। এর জন্যও ৪ ঘণ্টা বন্ধ রাখা হয়েছিল পুরীর মন্দিরের জগন্নাথদেবের দর্শন, সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য। এই অনুষ্ঠানে ওডিশার এই প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী মন্দিরকে নতুনভাবে সাজিয়ে তোলা হয়। আর এই মন্দির সাজানোর কাজ করেন উচ্চবর্ণের সেবায়েতরা। এঁদের বলা হয় ‘দত্ত মহাপাত্র’। এই বর্ণের সেবায়েতরা জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রার মূর্তি সাজানোর কাজ করেন। 

অন্যদিকে, মন্দিরের ভেতরে ভোগ মণ্ডপে জগমোহনের গুরুদা পিলারের কাছে এই সাজানোর কাজ চলে। তবে, এই শৃঙ্গারের কাজ শুধুমাত্র রথযাত্রার আগেই নয়, গোটা বছর জুড়ে সাত থেকে আটবার করা হয়। এখানেই শেষ নয়, রথযাত্রার আগে আরও একটি বিশেষ অনুষ্ঠান হয়, যার নাম ‘নীলাদ্রি বিজে’। 

এদিকে, নিয়মমতো প্রতিবছরের ন্যায় এবারও অক্ষয় তৃতীয়ার দিন থেকে শুরু হয়েছে চন্দনযাত্রা উৎসবের। এদিন থেকে জগন্নাথদেবের জন্য রথনির্মাণের কাজ শুরু হয়। আর রথ তৈরির কাজ শেষ হয় আষঢ়ের শুক্লা দ্বিতীয়ার আগে। চন্দনযাত্রা উৎসব শেষ হলেই, এই রথযাত্রা উৎসবের শুরু। এই সময়টা মন্দিরের সেবায়েতদের খুবই ব্যস্ত থাকেন। 

এই মুহূর্তে পুরীতে অসংখ্য মানুষের ভিড়। নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে একগুচ্ছ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ওড়িশা সরকার। পুরীর সমুদ্র এবং জগন্নাথ মন্দিরের আশেপাশের সব হোটেল পর্যটকে ভরতি থাকে।