শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

‍‍`একা নও‍‍`! স্বজনহারা ৪০০০ শিশুকে নিজের হাতে চিঠি লিখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

চৈত্রী আদক

প্রকাশিত: মে ৩১, ২০২২, ০৯:৪৮ পিএম | আপডেট: জুন ১, ২০২২, ০৩:৪৮ এএম

‍‍`একা নও‍‍`! স্বজনহারা ৪০০০ শিশুকে নিজের হাতে চিঠি লিখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
‍‍`একা নও‍‍`! স্বজনহারা ৪০০০ শিশুকে নিজের হাতে চিঠি লিখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

বংনিউজ২৪×৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ কোভিডে যে সকল শিশুরা বাবা-মা দু‍‍`জনকেই হারিয়েছেন তাদের দায়িত্ব যে কেন্দ্রীয় সরকার নেবে সে কথা প্রধানমন্ত্রী আগেই জানিয়েছিলেন। এক্ষেত্রে ‘PM CARES for Children’ প্রকল্প থেকে আর্থিক সহায়তা করা হবে বলে ঘোষণা করা হয়। এবার এই সুবিধার কথা জানিয়ে দেশের প্রায় ৪ হাজার শিশুকে ব্যক্তিগত চিঠি পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি হিন্দি, ইংরেজি ভাষা ছাড়াও অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষায় এই চিঠি পাঠিয়েছেন।

এই প্রকল্পের মাধ্যমে শিশুরা কী কী সুবিধা পাবেন সেই প্রসঙ্গে বিস্তারিত জানান প্রধানমন্ত্রী। করোনা সংক্রমণের জেরে যে সমস্ত শিশুরা তাদের বাবা মাকে হারিয়েছে তাদের আর্থিক সহায়তা করার জন্যই এই প্রকল্পের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে শিশুদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ার পথ প্রশস্ত করেছে কেন্দ্র। এই প্রসঙ্গে শিশুদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “এই প্রকল্প কেবলমাত্র তোমাদের স্বাধীনভাবে স্বপ্ন দেখাতেই সাহায্য করবেন না, স্বপ্নপূরণেও সাহায্য করবে।”

চিঠিতে শিশুদের আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি তাঁর মায়ের জীবনের কথাও উল্লেখ করেন মোদীজি। তিনি লেখেন, প্রায় ১০০ বছর আগে তাঁর দিদিমা মারা গেলে অনটনের সম্মুখীন হন তাঁর মা। সেই সময় তাঁর মায়ের বয়স খুবই কম ছিল। ফলে ছোট থেকেই মায়ের স্নেহ ছাড়া বেঁচে থাকতে হয় তাঁকে। একজন শিশুর বড় হওয়ার জন্য বাবা-মায়ের উপস্থিতি যে কতটা জরুরি তা বোঝেন প্রধানমন্ত্রী।

এছাড়াও শিশুদের সাহস দিয়ে তিনি লিখেছেন, “এতদিন তোমাদের বাবা-মা ভালো-খারাপের তফাৎ বুঝিয়েছেন, তোমাদের ‘গাইড’ করেছেন। এখন তাঁরা নেই। তাই তোমাদের নিজেদের দায়িত্ব অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। কারুর সাহায্য ছাড়া এই পৃথিবীতে কেউ বড় হতে পারে না। তাই আমি তোমাদের আশ্বস্ত করছি, এই সময়ে দেশ তোমাদের পাশে আছে। এই লড়াইয়ে, কঠিন সময়ে তোমরা একা নও।”

চিঠিতে এই প্রকল্পের সুবিধার কথাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। এর মাধ্যমে বিনামূল্যে পড়াশোনা ও শিক্ষার পাশাপাশি শিশুরা পাবে লোনের সুবিধা। ১৮ বছরের না হওয়া পর্যন্ত মাসিক আর্থিক সহায়তাও পাবে তারা। এছাড়াও মিলবে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবীমা। এরপর ২৩ বছর হলে প্রত্যেকে এই প্রকল্প থেকে ১০ লাখ টাকা এবং উচ্চশিক্ষার জন্য স্কলারশিপ পাবে।