শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

গুজরাট সফরে গিয়ে বাধ্য স্কুল ছাত্রের ভূমিকায় প্রধানমন্ত্রী! কটাক্ষ বিরোধীদের

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২২, ০১:০০ পিএম | আপডেট: অক্টোবর ২০, ২০২২, ০৭:০০ পিএম

গুজরাট সফরে গিয়ে বাধ্য স্কুল ছাত্রের ভূমিকায় প্রধানমন্ত্রী! কটাক্ষ বিরোধীদের
গুজরাট সফরে গিয়ে বাধ্য স্কুল ছাত্রের ভূমিকায় প্রধানমন্ত্রী! কটাক্ষ বিরোধীদের

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ এবার এক অন্য রূপে পাওয়া গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। গুজরাট সফরে গিয়ে, বুধবার গান্ধীনগরে মিশন স্কুল অফ এক্সিলেন্সের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানেই একটি সরকারি স্কুলে যান প্রধানমন্ত্রী। সেই সময় ক্লাস চলছিল। প্রধানমন্ত্রী ক্লাসের অন্যান্য পড়ুয়াদের সঙ্গে বেঞ্চেই বাধ্য ছাত্রের মতো বসে যান এবং সময় কাটান ক্লাসে। এই ছবি প্রকাশ্যে এসেছে ইতিমধ্যেই। যা দেখে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা।

প্রধানমন্ত্রীর স্কুলের ওই ছবি দেখে আপের বক্তব্য, নরেন্দ্র মোদী গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে জেতার জন্য আম আদমি পার্টির নেতাকে নকল করা হয়েছে। উল্লেখ্য, মাঝে সরকারি স্কুলে গিয়ে ক্লাসে বসে থাকতে দেখা গিয়েছিল দিল্লির শিক্ষামন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকে।

বুধবার গান্ধীনগরের ওই সরকারি স্কুলে গিয়ে পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এক ছাত্রের পাশে বসে সে কী পড়াশোনা করছে তাও জানতে চান। এদিনই গুজরাটের সরকারি শিক্ষাব্যবস্থায় ১০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত জানান। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন, বিশ্ব ব্যাঙ্কের আর্থিক সাহায্যে গুজরাটে ৫০ হাজার ক্লাসরুম, দেড় লক্ষ স্মার্ট ক্লাসরুম, ২০ হাজার কম্পিউটার রুম ও ৫ হাজার গবেষণাগার তৈরি হবে। সব রাজ্যকে এই ধরনের আধুনিক শিক্ষা পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর এই আহ্বানকে কটাক্ষ করেছে আপ। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, দিল্লির সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থার সাফল্য নিয়ে গুজরাটে আগেই প্রচার চালিয়েছে আম আদমি পার্টি। ফলে আসন্ন গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের আগে সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর প্রতিশ্রুতি দিতে কার্যত বাধ্য হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

আর সেই জন্যই গুজরাটের শিক্ষা খাতে ১ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হচ্ছে। এদিকে, গুজরাটে মিশন স্কুল অফ এক্সিলেন্সে বরাদ্দ অর্থ নিয়ে অরবিন্দ কেজরিওয়াল টুইট করে বলেন, ‘৫ বছরে দিল্লির সব স্কুলকে আধুনিক মানে উত্তীর্ণ করতে সক্ষম হয়েছি। এই ভাবেই পাঁচ বছরে গোটা দেশের স্কুলের চেহারা পালটে দেওয়া সম্ভব। অভিজ্ঞতা রয়েছে আমার। আপনি আমাকে এই কাজের জন্য ব্যবহার করতে পারেন। আসুন একসঙ্গে কাজ করি দেশের জন্য।’

যদিও বিজেপির শাসনে গুজরাটের শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে বলেই দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি জানিয়েছেন, গত দুই দশকে গুজরাটে শিক্ষার ক্ষেত্রে যে পরিবর্তন হয়েছে, তা আগে দেখা যায়নি। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ২০ বছর আগে ১০০ জনের মধ্যে ২০ জন শিশু স্কুলে যেত না। স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে একটা বড় অংশ অষ্টম শ্রেণিতে পৌঁছানোর আগেই পড়া ছেড়ে দিত। মেয়েদের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি আরও খারাপ ছিল। তবে, এখন সেই অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে বলেই দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী।