শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

জলসংকট চরমে! জলের জন্য ঝুঁকি নিয়ে কুয়োর সামনে গোটা গ্রাম, দেখুন ভিডিও

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: জুন ১০, ২০২২, ০১:২৯ পিএম | আপডেট: জুন ১০, ২০২২, ০৭:২৯ পিএম

জলসংকট চরমে! জলের জন্য ঝুঁকি নিয়ে কুয়োর সামনে গোটা গ্রাম, দেখুন ভিডিও
জলসংকট চরমে! জলের জন্য ঝুঁকি নিয়ে কুয়োর সামনে গোটা গ্রাম, দেখুন ভিডিও

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ একটু জলের জন্য হাহাকার। জলসংকট এতোটাই তীব্র যে, জীবনের ঝুঁকিও অগ্রাহ্য করছে মানুষ। কিছুদিন আগেই মহারাষ্ট্রের একটি গ্রামের জলসংকটের ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছিল। তাতে দেখা গিয়েছিল, এক মহিলা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রায় শুকিয়ে যাওয়া একটি কুয়োতে নামছেন। তাও আবার দড়ি বাঁ অন্য কিছুর সাহায্য ছাড়াই। সেই ভিডিও তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল।

সেই মহারাষ্ট্রেরই জলসংকটের এবার এক নয়া চিত্র সামনে এল।  যা আগের সেই ছবি থেকে আরও ভয়ঙ্কর বলা যায়। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এক বালতি জলের জন্য গোটা গ্রাম এক কুয়োর সামনে ভিড় করেছে। কুয়োর পাড়ে দাঁড়িয়ে ঠেলাঠেলি, হুড়োহুড়ি করে জল নেওয়ার চেষ্টা করছে। সেই সঙ্গে চলছে ধাক্কাধাক্কিও। দেখে মনে হবে, যেকোনো মুহূর্তেই ঘটে যেতে পাড়ে বড় কোনও দুর্ঘটনা। 

প্রায় তিন মাস আগে মহারাষ্ট্রের যে ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছিল সেটা ছিল ত্রিম্বকেশ্বর জেলার মেটঘর নামক এক গ্রামের। আর এবার যে গ্রামের ভিডিও উঠে এল, তা হল মালঘাটের খাদিয়াল গ্রামের। উল্লেখ্য, প্রতিবছরই দেশের বিভিন্ন জায়গায় জলের তীব্র সংকট দেখা দেয় গরমের সময়। কোথাও কোথাও আবার খরা পরিস্থিতিও তৈরি হয়। কিন্তু জল না হলে চলবে না, কারণ জলের আরেক নামই তো জীবন। তাই জীবনের ঝুঁকি থাকলেও, জল জোগাড় করতেই হয় সেই ঝুঁকিকে অগ্রাহ্য করেই। আর সেই ঝুঁকিপূর্ণ ছবিই ধরা পড়ল সোশ্যাল মিডিয়ায়। 

এক সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সেই ভিডিটির ক্যাপশনে লিখেছেন, গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন যে, মহারাষ্ট্রের মালঘাটের খাদিয়াল গ্রামে দু’টি মাত্র পানীয় জলের কুয়ো রয়েছে। সেই দুটো কুয়োর জলই প্রায় শুকিয়ে গেছে। কিন্তু গ্রামের জনসংখ্যা দেড় হাজারের বেশি। তাই ওই জলে তেষ্টা মেটে না গ্রামবাসীদের। স্থানীয় প্রশাসন আপাতত প্রতিদিন দু’টি করে জলবাহী ট্যাঙ্কার গাড়ি পাঠাচ্ছে গ্রামে।’ সেই কারণেই জলের জন্য ওইভাবে অতো মানুষ একসঙ্গে জড়ো হয়েছেন এবং ঝুঁকি নিয়ে জল সংগ্রহ করছেন। কিন্তু প্রশ্ন এতো ভিড় কেন?

আসলে জানা গিয়েছে, প্রশাসন সরাসরি ট্যাঙ্কার থেকে জল না দিয়ে পাইপের মাধ্যমে জল কুয়োতে ঢালছে। সেখান থেকে জল নিতে হচ্ছে গ্রামের বাসিন্দাদের। তাই জল নিতে কুয়োর সামনে অটো ভিড়। জল ফুরিয়ে যাওয়ার আগেই যে জল নিতে হবে। চলছে একে অপরের আগে জল নেওয়ার জন্য ধাক্কাধাক্কি। কারও খেয়ালই নেই যে, এর জেরে বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে মুহূর্তের মধ্যেই। এতে এও প্রশ্ন উঠছে যে, কেন এভাবে কুয়োতে জল না দিয়ে ট্যাংকার থেকে জল দেওয়া হচ্ছে না।