শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

বিরোধীদের বিক্ষোভে উত্তাল রাজ্যসভা! বিশৃঙ্খলার অভিযোগে ৭ তৃণমূল-সহ সাসপেন্ড ১৯ সাংসদ

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: জুলাই ২৬, ২০২২, ০৫:৩১ পিএম | আপডেট: জুলাই ২৬, ২০২২, ১১:৫২ পিএম

বিরোধীদের বিক্ষোভে উত্তাল রাজ্যসভা! বিশৃঙ্খলার অভিযোগে ৭ তৃণমূল-সহ সাসপেন্ড ১৯ সাংসদ
বিরোধীদের বিক্ষোভে উত্তাল রাজ্যসভা! বিশৃঙ্খলার অভিযোগে ৭ তৃণমূল-সহ সাসপেন্ড ১৯ সাংসদ

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ রাজ্যসভার বাদল অধিবেশন বিরোধীদের বিক্ষোভে উত্তাল। বিশৃঙ্খল আচরণের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে বিরোধী শিবিরের মোট ১৯ জন সাংসদকে। এঁদের মধ্যে আবার তৃণমূল কংগ্রেসের ৭ সাংসদও রয়েছেন। এদিকে, গতকালই বিশৃঙ্খলার অভিযোগে লোকসভার অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল ৪ কংগ্রেস সাংসদকে। গতকালের ঘটনার পর আজ রাজ্যসভায় বিরোধীদের ১৯ জনকে সাসপেন্ড করা হল। জানা গিয়েছে, আগামী ১ সপ্তাহের জন্য ওই ১৯ জন সাংসদদের সাসপেন্ড করা হয়েছে রাজ্যসভা থেকে। ২৫৬ ধারার অধীনে এই সাংসদদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়েছে।

এদিন অধিবেশন শুরু হওয়ার পর ১৫ মিনিটের জন্য সংসদ মুলতুবি করে দেওয়া হয়। পড়ে ফের একবার অধিবেশন শুরু হলে গোলমাল শুরু হয়। ওয়েলে নেমে বিভিন্ন ইস্যুতে স্লোগান দেওয়ার পাশাপাশি বিক্ষোভ দেখান বিরোধীরা। সেই অভিযোগেই তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। চলতি সপ্তাহে রাজ্যসভার বাদল অদিবেশনে অংশ নিতে পারবেন না এই সাসপেন্ড হওয়া ১৯ বিরোধী সাংসদ। 

জানা গিয়েছে, জিএসটি, মূল্য বৃদ্ধি, অগ্নিপথ প্রকল্প ও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির অপব্যবহারের বিরুদ্ধে সরব হন বিরোধীরা। তাঁরা ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। স্লোগানের সঙ্গে সঙ্গে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন চলতে থাকে। ডেপুটি স্পিকার বারংবার বারণ করা সত্ত্বেও তাতে কর্ণপাত করেননি বিক্ষোভরত বিরোধী সাংসদরা। বিক্ষোভ দেখাতে দেখাতে কেউ কেউ আবার ডেপুটি স্পিকারের চেয়ারের কাছে বসে পড়েন। উল্লেখ্য, বাদল অধিবেশন শুরু হওয়ার আগেই এই ধরনের আচরণের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই এদিন বিক্ষোভ দেখান বিরোধীরা বিভিন্ন ইস্যুতে। তাই এই সাসপেনশনের খাঁড়া নেমে এল তাঁদের উপর। 

এদিন সাসপেন্ড হওয়া রাজ্যসভার সাংসদদের তালিকায় রয়েছেন, সুস্মিতা দেব (তৃণমূল কংগ্রেস), মৌসম বেনজির নুর (তৃণমূল কংগ্রেস), শান্তা ছেত্রী (তৃণমূল কংগ্রেস), দোলা সেন (তৃণমূল কংগ্রেস), শান্তনু সেন(তৃণমূল কংগ্রেস), অভি রঞ্জন বিশ্বাস (তৃণমূল কংগ্রেস), মহম্মদ নাদিমুল হক (তৃণমূল), এম হামিদ আবদুল্লা (ডিএমকে), বি লিঙ্গাইয়া যাদব (টিআরএস), এ এ রহিম (সিপিএম), রবিহান্দ্রা ভাড্ডিরাজু (টিআরএস), এস কল্যাণ সুন্দরম (ডিএমকে), আর গিরিরাজন (ডিএমকে), এন আর এলানগো (ডিএমকে), ভি শিভদাসন (সিপিএম), এম সম্মুগম (ডিএমকে), দামোদর রাও (টিআরএস), সন্দোস কুমার (সিপিআই), কানিমোঝি সোনু (ডিএমকে)।

জানা গিয়েছে, এদিন রান্যসভার অধিবেশনের শুরুতেই বিরোধী সাংসদরা দাবি জানান যে, দেশে মূল্যবৃদ্ধি এবং জিএসটি নিয়ে আলোচনা করতে হবে। এই দাবির পরেই সরকারপক্ষের সঙ্গে বিরোধী সাংসদদের বচসা শুরু হয়ে যায়। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এরপরই ১৯ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়। 

এদিকে, এই সাসপেনশনের পর তৃণমূলের পক্ষ থেকে টুইটে বলা হয় যে, ‘আপনারা আমাদের সাসপেন্ড করতে পারবেন কিন্তু চুপ করাতে পারবেন না। শোচনীয় পরিস্থিতি। আমাদের সাংসদরা মানুষের সমস্যাগুলি সংসদে তুলে ধরার চেষ্টা করছিলেন, অথচ তাঁদেরই সাসপেন্ড করা হল। এই পরিস্থিতি আর কতদিন চলবে? এভাবে সংসদের পবিত্রতা নষ্ট করা হয়েছে।’