বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ পঞ্জিকা মেনে আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ইতিমধ্যেই মনোনয়ন পেশ করেছেন আদিবাসী নেত্রী তথা ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন রাজ্যপাল দ্রৌপদী মুর্মু। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার উপস্থিতিতে তিনি ২৪ জুন মনোনয়ন জমা দেন তিনি। আর এবার বিরোধী জোট শিবিরের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী যশবন্ত সিনহা মনোনয়ন পেশ করলেন। সংসদে মনোনয়ন পেশ করলেন তিনি।
এদিন তাঁর মনোনয়ন পেশের সময় উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস নেতা তথা সাংসদ রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গে, তৃণমূল সাংসদ অভিষেক ব্য়ানার্জি ও সৌগত রায়। এছাড়াও ছিলেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার, সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব, এনসি প্রধান ফারুক আবদুল্লা, সিপিআইএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি প্রমুখ বিরোধী নেতৃত্ব।
এদিকে, সোমবারই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী শিবিরের প্রার্থী যশবন্ত সিনহাকে সমর্থনের কথা জানিয়েছে তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও-এর দল টিআরএস বা তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এই নির্বাচনে বিজেপি বিরোধী শিবিরের জোর আরও খানিকটা বাড়ল। তাই স্বস্তিও খানিকটা বাড়ল বিরোধী জোট শিবিরে। আগামী ২৮ জুলাই রয়েছে দেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। নির্বাচনের ফল প্রকাশ ২১ জুলাই। চলতি বছরের ২৪ জুলাই রাষ্ট্রপতি পদে মেয়াদ শেষ হতে চলেছে রামনাথ কোবিন্দের।
জানা দিয়েছে, এদিন যশবন্তের মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর, শরদ পাওয়ারের ডাকে আজ ফের সংসদে নির্বাচনী কৌশল কী হবে, তা নিয়ে আলোচনা করতে বৈঠকে বসবে অবিজেপি দলগুলির নেতৃত্ব। জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুরে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিলের পর, বিকেলেই দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠকে হাজির হয়ে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করবেন বর্ষীয়ান এই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।
প্রসঙ্গত, এবারে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অ-বিজেপি দলগুলিকে জোটবদ্ধ হওয়ার ডাক দেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর ডাকে সাড়া দিয়েই দিল্লিতে প্রথম বিজেপি বিরোধী দলগুলি বৈঠকে বসে। এই বৈঠকে মোট ১৮ টি অবিজেপি দল যোগ দেয়। এই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ঘিরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সর্বসম্মতিক্রমে বিরোধী শিবির থেকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়া হবে। এরপর দ্বিতীয় বৈঠক ডাকেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার। সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, বিরোধী শিবির থেকে প্রার্থী হবেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিনহা। যদিও যশবন্তের আগেও কয়েকজনকে প্রস্তাব দেওয়া হলেও, তাঁরা প্রার্থী হতে রাজি হননি। এরা হলেন, শরদ পাওয়ার, গোপালকৃষ্ণ গান্ধী, ফারুক আবদুল্লা প্রমুখকে। কিন্তু সকলেই সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেন। এরপরই যশবন্ত সিনহার নাম প্রার্থী হিসেবে স্থির হয় সর্বসম্মতিক্রমে। এই সিদ্ধান্তে পাকাপাকি হওয়ার পরই আজ, ২৭ জুন মনোনয়ন জমা করার দিন স্থির করা হয়।
উল্লেখ্য, বিরোধী প্রার্থী মনোনীত হওয়ার পর সমর্থন চেয়ে শুক্রবার সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ফোন করেন যশবন্ত সিনহা। তবে, তাঁর সঙ্গে নাকি প্রধানমন্ত্রীর কথা হয়নি। আবার প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা এল কে আডবাণীকেও।
আপনার মতামত লিখুন :