শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

কেন ভাঙল ব্রিজ? কারণ হিসেবে আজব যুক্তি দিলেন আইএএস অফিসার

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: মে ১০, ২০২২, ১১:০০ পিএম | আপডেট: মে ১১, ২০২২, ০৫:০০ এএম

কেন ভাঙল ব্রিজ? কারণ হিসেবে আজব যুক্তি দিলেন আইএএস অফিসার
কেন ভাঙল ব্রিজ? কারণ হিসেবে আজব যুক্তি দিলেন আইএএস অফিসার

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ব্রিজ বা সেতু ভেঙ্গে পড়ার ঘতনা এদেশে নতুন বা বিরল নয়। এতা দুর্ভাগ্যজনক হলেও এটাই বাস্তব। কিন্তু এই সেতু ভেঙে পড়ার এমন কারণ হিসেবে কেউ হাওয়াকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে পারে, এটা কল্পনাই করা যায় না। বিশেষ করে সেই বাঁধ যখন মাটির কাঁচা বাঁধ নয়। এমন পরিস্থিতিতে অবাক হওয়া ছাড়া কিছুই করার থাকে না।  

সম্প্রতি বিহারের এক দুর্ঘটনার পিছনে থাকা এমনই হতবাক হওয়ার মত কারণ শুনে কার্যত বাকরুদ্ধ হয়ে যান খোদ কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী নীতীন গড়কড়ি। মন্ত্রী নিজেই তাঁর এই অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। 

উল্লেখ্য, ২৯ এপ্রিল বিহারের সুলতানগঞ্জে নির্মীয়মাণ এক সেতুর একাংশ ভেঙে পড়ে। যদিও অই ঘটনায় হতাহতের কোনও ঘটনা ঘটেনি। এরপর দুর্ঘটনার খবর নিচ্ছিলেন কেন্দ্রীয় পরিবহণ মন্ত্রী নীতীন গড়কড়ি। তখনই এক আইএএস অফিসার তাঁকে বলেন, জোরে হাওয়া দেওয়ার কারণেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে ওই ব্রিজ। যা শুনে তাজ্জব হয়ে যান গড়কড়ি।

মন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘গত ২৯ এপ্রিল ওই সেতুটি ভেঙে পড়েছিল। আমার সচিবকে এবিষয়ে জিজ্ঞেস করতেই তিনি বললেন, জোরে হাওয়া দিচ্ছিল বলেই ওই ঘটনা ঘটেছে। আমি তো বুঝতেই পারছিলাম না কী করে স্রেফ জোরে হাওয়া দিলেই কোনও ব্রিজ ভেঙে পড়তে পারে! কিছু না কিছু সমস্যা তো ছিলই। মানের সঙ্গে কোনও রকম আপস না করে আমাদের ভাল কাজ করতে হবে।’

এখানেই শেষ নয়, তিনি আর বলেছেন, ‘দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে খারাপ নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করার দিকটা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। বিষয়টি তদন্তসাপেক্ষ। ১৭১০ কোটি টাকা খরচে নির্মীয়মাণ একটা সেতুর একাংশ এভাবে হাওয়ার দাপটে ভেঙে পড়তে পারে না।’

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে সুলতানগঞ্জে ও আগুনি ঘাটের মধ্যবর্তী অই সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হ্য। ২০১৯ সালের মধ্যেই অই সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও, জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত সমস্যার পাশাপাশি করোনা পরিস্থিতির কারণে সেই কাজ এখনও শেষ হয়নি।