শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

জন্মের পরই স্থান হয়েছিল ডাস্টবিনে! ‘ছোট্ট লক্ষ্মী’কে দত্তক নিতে চান উদ্ধারকারী দম্পতি

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: অক্টোবর ৯, ২০২২, ১০:৩৪ এএম | আপডেট: অক্টোবর ৯, ২০২২, ০৪:৩৮ পিএম

জন্মের পরই স্থান হয়েছিল ডাস্টবিনে! ‘ছোট্ট লক্ষ্মী’কে দত্তক নিতে চান উদ্ধারকারী দম্পতি
জন্মের পরই স্থান হয়েছিল ডাস্টবিনে! ‘ছোট্ট লক্ষ্মী’কে দত্তক নিতে চান উদ্ধারকারী দম্পতি / প্রতীকী ছবি

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ প্রাতঃভ্রমণ সেরে বাস স্ট্যান্ডের পাশ দিয়ে আসছিলেন। আচমকাই কানে আসে ক্ষীণ একটা আওয়াজ। দূর থেকে যেন কোনও সদ্যোজাত কাঁদছে। কিন্তু চারদিকে তাকিয়ে কিছু নজরে পড়েনি। বাস স্ট্যান্ডের পাশে শুধুই ময়লা ফেলার ভ্যাট। তাহলে আওয়াজ কোথা থেকে আসছে? কিন্তু মুহূর্তের মধ্যে সন্দেহ হওয়ায়, উঁকিঝুঁকি মারতেই চমকে উঠলেন এক দম্পতি। দেখলেন, ময়লার মাঝেউ হাত-পা ছুঁড়ছে একরত্তি শিশুকন্যা।

বয়স খুব বেশি হলে, দুইদিন হবে। শিশুটিকে দেখতেই সঙ্গে সঙ্গে ওই দম্পতি ফোন করে জানান পুলিশের হেল্পলাইনে। খবর পেয়েই, কিছুক্ষণের পুলিশ এসে নিয়ে যায় ওই শিশুকন্যাকে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে ভর্তি করা হয়, হাসপাতালে। এই মুহূর্তে সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছে শিশুটি। ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির রাজোক্রি বাস স্ট্যান্ডে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকাল ৮ টা ১২ মিনিট নাগাদ দিল্লি পুলিশের পিসিআরে ফোন আসে। এক ব্যক্তি জানান যে, বসন্ত কুঞ্জের কাছে রাজোক্রি বাস স্ট্যান্ডের পাশে একটি ময়লার ভ্যাটের ভিতরে একটি জীবিত শিশুকন্যা পড়ে রয়েছে। ফোন পেয়েই সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। পুলিশ ওই ব্যক্তিকে ফোন করলে তিনি জানান যে, বাস স্ট্যান্ডের পাশেই তাঁর বাড়ি। বৃষ্টি শুরু হওয়ায়, ওই সদ্যোজাতকে তিনি বাড়ি নিয়ে এসেছেন।

এরপর পুলিশ ওই উদ্ধারকারী ব্যক্তির বাড়ি থেকে শিশুকন্যাটিকে নিয়ে বসন্ত কুঞ্জের ফর্টিস হাসপাতালে নিয়ে যায় প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য। আপাতত শিশুকন্যাটি স্থিতিশীল আছে বলেই জানা গিয়েছে। আইন মেনে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেই জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, খুব বেশি হলে, ২৪ থেকে ২৮ ঘণ্টা আগে শিশুটির জন্ম হয়। স্বাভাবিকের তুলনায় শিশুটির ওজনও বেশ কিছুটা কম। এর পাশাপাশি বৃষ্টিতে ভিজে হাইপোথার্মিয়ার জন্য শিশুটি নীল হয়ে যায়। হাসপাতালের পক্ষ থেকে প্রথমে শিশুটিকে পরিষ্কার করে হিটারে এবং পরে নিও-ন্যাটাল ইন্টেসিভ কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তরিত করা হয়। বর্তমানে চিকিৎসায় সারা দিচ্ছে শিশুটি, এমনটাই জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, যে দম্পতি ওই শিশুটিকে উদ্ধার করেছিলেন, শিশুটি সুস্থ হলেই তাকে দত্তক নিতে আগ্রহী বলেই জানিয়েছেন।