শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪

দেশের মধ্যে সবথেকে নিরাপদ তিলোত্তমা কলকাতা! অপরাধের শীর্ষে দিল্লি, বলছে NCRB রিপোর্ট

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: আগস্ট ৩০, ২০২২, ০৪:৪০ পিএম | আপডেট: আগস্ট ৩০, ২০২২, ১০:৪০ পিএম

দেশের মধ্যে সবথেকে নিরাপদ তিলোত্তমা কলকাতা! অপরাধের শীর্ষে দিল্লি, বলছে NCRB রিপোর্ট
দেশের মধ্যে সবথেকে নিরাপদ তিলোত্তমা কলকাতা! অপরাধের শীর্ষে দিল্লি, বলছে NCRB রিপোর্ট /

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ দেশের মধ্যে সবথেকে নিরাপদ শহর তিলোত্তমা কলকাতা। চুরি, খুন, ধর্ষণ, ডাকাতির মতো অপরাধের ক্ষেত্রে দিল্লির সঙ্গে কোনও তুলনাই হয় না শহর কলকাতার। এমনটাই জানাচ্ছে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো। জোর লড়াই করে ফেছনে ফেলে দিল দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরুর মতো বড় বড় শহরকে। আর এই নিয়ে দ্বিতীয়বার নিরাপদ শহরের তকমা ছিনিয়ে নিল কলকাতা। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর রেকর্ড বলছে, কয়েকটি অপরাধের ঘটনা প্রকাশ্যে এলেও ২০২১ সালেও দেশের সবথেকে নিরাপদ শহর ছিল কলকাতাই।

খোদ দেশের রাজধানী দিল্লিতে অপরাধের ভয়ঙ্কর পরিসংখ্যানকে হাতিয়ার করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে বিঁধেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর হাতে এখন এনসিআরবি-র রিপোর্ট। ঠিক কী আছে এই রিপোর্টে?

কেন্দ্রীয় সংস্থায় ২০২১ সালের ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, কলকাতায় যেখানে গত বছর খুনের সংখ্যা ৪৫, সেখানে দিল্লিতে গতবছর খুন হয়েছেন ৪৫৪ জন। ধর্ষণের সংখ্যা আরও বেশি। গত বছর কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণে থাকা দিল্লিতে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১২২৬ জন। আর কলকাতায় সেই সংখ্যা ১১। এনসিআরবি-র এই রিপোর্টকে অস্ত্র বানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে আক্রমণ করেছেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এনসিআরবি-র রিপোর্ট হাতে পেয়েই অভিষেক টুইট করে বলেছেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হাতে এখন দুটো কাজ। একটা ছেলেকে জাতীয়তাবাদ শেখানো। আর অপরটা হল তাঁর নিয়ন্ত্রণে থাকা রাজধানীর পুলিশকে নিয়ন্ত্রণ করা। দিল্লিতে অপরাধের যে হার দেখা গিয়েছে, তা দেখে আমি স্তম্ভিত। বাংলাকে দেখে শেখা উচিত।’

উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় পুলিশের নিয়ন্ত্রণে থাকা দিল্লিতে যেভাবে অপরাধ হয়েছে একের পর এক, তাতে তুলনায় অনেক পেছনে রয়েছে মুম্বই, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই ও হায়দরাবাদের মতো মেট্রো শহরগুলি। এনসিআরবি-র রিপোর্ট বলছে, ২০২১ সালে দিল্লিতে খুন হয়েছেন ৪৫৪ জন। সেখানে মুম্বইয়ে একই বছরে খুন হয়েছেন ১৬২ জন, বেঙ্গালুরুতে ১৫২ জন, চেন্নাইয়ে ১৬১ এবং হায়দরাবাদে ৯৮ জন। অন্যদিকে, গত বছর দিল্লিতে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১২২৬ জন। সেখানে মুম্বইয়ে এই সংখ্যাটা ৩৬৪, বেঙ্গালুরুতে ১১৭, চেন্নাইয়ে ৪৫ এবং হায়দরাবাদে ১১৬ জন।

এদিকে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের টুইটের পাল্টা জবাব দিয়েছেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। তিনি বলেন, ‘বাংলার বিরুদ্ধে সবসময় অভিযোগ ওঠে বাংলা কখনই ঠিকঠাক তথ্য দেয় না। বাংলায় যদি ৫টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে তাহলে ১টা দেখানো হয়। যেটুকু তথ্য কেন্দ্র পায় তার উপরে ভিত্তি করেই এনসিআরবি রিপোর্ট তৈরি করে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের উচিত তাঁর পিসিকে জিজ্ঞাসা করা যে, রাজ্যে যত অপরাধ হয় তার কত শতাংশ রিপোর্ট তিনি কেন্দ্রকে দেন। রাজ্যে যেসব অপরাধ হয় তা ঢাকতে ব্যস্ত রাজ্য সরকার। তাহলে এনসিআরবি রিপোর্টে তা দেখা যাবে কীভাবে। খুন বা পলিটিক্যাল মার্ডারের হিসেব যদি দেখা যায় তাহলে তো বাংলা উপরের দিকে থাকবে। ভোট পরবর্তী হিংসায় যে আড়াইশো মানুষ মারা গিয়েছিল তা এনসিআরবি-র রিপোর্টে নেই নিশ্চয়।’