শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪

গুরু রবিদাসের জন্ম জয়ন্তীতে করোল বাগের আশ্রমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, যোগ দিলেন কীর্তনে

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২২, ০২:৫৮ পিএম | আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২২, ০৩:২৮ পিএম

গুরু রবিদাসের জন্ম জয়ন্তীতে করোল বাগের আশ্রমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, যোগ দিলেন কীর্তনে
গুরু রবিদাসের জন্ম জয়ন্তীতে করোল বাগের আশ্রমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, যোগ দিলেন কীর্তনে

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ গুরু রবিদাসের জন্ম জয়ন্তীতে দিল্লির করোল বাগের আশ্রমে উপস্থিত হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন সকালেই গুরু রবিদাস বিশ্রাম ধাম মন্দিরে যান নরেন্দ্র মোদী। সেখানে উপস্থিত হয়ে ভক্তদের সঙ্গে মাটিতে বসেই কীর্তনে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। 

পরে সেই কীর্তনের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করেন তিনি। সেই কীর্তনের ভিডিও টুইট করে, তাকে বিশেষ মুহূর্ত বলেও উল্লেখ করেছেন মোদী। পাশাপাশি মন্দিরের দর্শনার্থীদের খাতায় রবিদাসের ভক্তদের উদ্দেশ্যে বিশেষ বার্তাও দিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন যে, গুরু রবিদাসের জীবন মানুষকে অনুপ্রাণিত করে। মূলত পাঞ্জাবের মানুষ এই দিনটিকে বিশেষভাবে পালন করেন। রবিদাসের জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষে পঞ্জাবের বিধানসভা ভোটের দিনও বদলে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। 

শুধু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই নন, গুরুদাস জন্ম জয়ন্তীতে টুইট করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও। দেশের মানুষকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি লিখেছন, ‘ভালোবাসা ও সাম্যের বার্তা দিয়েছিলেন গুরু রবিদাস।’ সব বিদ্বেষ ভুলে সাম্য, সম্প্রীতি ও পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে সমাজ গঠনের বার্তা দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। 

প্রসঙ্গত, মাঘ পূর্ণিমার দিনই রবিদাসের জন্ম জয়ন্তী পালন করা হয়। এ বছর ১৬ ফেব্রুয়ারিতেই মাঘ পূর্ণিমা। দিল্লির লেফট্যানেন্ট গভর্নর অনিল বাজাজ রবিদাসের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে ১৬ ফেব্রুয়ারি ছুটি ঘোষণা করেছেন। এদিন রাজধানীর সব স্কুল, কলেজ বন্ধ রয়েছে। তবে, গুরু রবিদাসের জন্মদিন ঠিক কবে, তা কেউই জানেন না। কিন্তু অনুমান করা হয় যে, উত্তরপ্রদেশের বারাণসিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি। উল্লেখ্য, প্রত্যেক বছর মাঘ পূর্ণিমায় সেই জন্মজয়ন্তী পালন করা হয়। এ বছর সেই পূর্ণিমায় গুরু রবিদাসের আশ্রমে গেলেন মোদী। 

এদিকে, ১৪ ফেব্রুয়ারি পঞ্জাবে ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গুরু রবিদাস জয়ন্তী উপলক্ষ্যে ১৪ তারিখের পরিবর্তে ২০ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণ হবে ব্লেই জানানো হয় কমিশনের তরফে। কারণ এই উৎসবের সময় পঞ্জাবের বহু মানুষ উত্তরপ্রদেশের বারাণসিতে আসেন। কাজেই অনেকেই রাজ্যে থাকেন না। ফলে ভোটে তার প্রভাব পড়তে পারে বলেই উল্লেখ করেছিলেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চন্নি। এরপরই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠকে বসে নির্বাচন কমিশন। মুখ্যমন্ত্রীর আর্জি মেনে, পিছিয়ে দেওয়া হয় ভোটের দিন।