শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

প্রেমিকের বয়স মাত্র কুড়ি, তার হাত ধরে ঘর ছাড়ল সাত সন্তানের মা! স্ত্রীকে ফেরাতে পুলিশের দ্বারস্থ স্বামী

চৈত্রী আদক

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৮, ২০২২, ০৯:৪০ পিএম | আপডেট: এপ্রিল ২৯, ২০২২, ০৩:৪০ এএম

প্রেমিকের বয়স মাত্র কুড়ি, তার হাত ধরে ঘর ছাড়ল সাত সন্তানের মা! স্ত্রীকে ফেরাতে পুলিশের দ্বারস্থ স্বামী
প্রেমিকের বয়স মাত্র কুড়ি, তার হাত ধরে ঘর ছাড়ল সাত সন্তানের মা! স্ত্রীকে ফেরাতে পুলিশের দ্বারস্থ স্বামী

বংনিউজ২৪×৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ কথায় বলে প্রেম কোনও বয়স মানে না। এমনকি স্থান-কাল-পাত্র বিবেচনা করেও বোধহয় কখনও প্রেম হয় না। কিন্তু প্রেমিকের থেকে ৩০ বছরের বড় প্রেমিকা, এমনটাও হয়? এবার ‌এরকমই দৃষ্টান্ত দেখা গিয়েছে মধ্যপ্রদেশের ছতরপুরে। তবে এটা কিন্তু সবে ট্রেলার, পিকচার আভি বাকি হ্যা।

জানা গিয়েছে, বছর পঞ্চাশের ওই মহিলা সাত সন্তানের মা। কিন্তু তাঁর প্রেমিকের বয়স মাত্র কুড়ি বছর। এরপর প্রেমিক-প্রেমিকা মিলে কী ঘটিয়েছেন জানেন? প্রেমিকের হাত ধরে স্বামী ও সাত সন্তানকে ফেলে পালিয়ে যান ওই মহিলা। ভালোবাসার টানে মানুষ কিনা কি করতে পারে! এই আজব কান্ড দেখে রীতিমতো কপালে চোখ উঠেছে এলাকাবাসীর। অন্যদিকে মাথায় হাত পড়েছে মহিলার স্বামীর। তাঁর স্বামীর চিন্তার পেছনে অবশ্য অন্য কারণ রয়েছে। বাড়ি ছাড়ার আগে স্বামীর ফসল বিক্রির যাবতীয় টাকা-পয়সা নিয়ে চম্পট দেন স্ত্রী।

পুলিশ সূত্রে খবর, পলাতক মহিলার নাম সঞ্জু সেন।  তাঁর স্বামী হরিমোহন সেন ছতরপুর জেলার  সতাই থানার অন্তর্গত চান্দেরনপুরওয়া এলাকার বাসিন্দা। স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে পুলিশের দ্বারস্থ হন বছর পঞ্চান্নর হরিমোহন বাবু। স্ত্রীর সমস্ত ঘটনা জানিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর ফার্মেই কাজ করতেন কুড়ি বছরের তরুণ মহেশ সেন। ওই মহেশের সঙ্গেই সঞ্জু সেনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। যার জেরে সমস্ত টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিয়ে দুজনে পালিয়ে যান।

এখানেই শেষ নয়। হরিমোহন বাবু আরও জানান যে, তাদের সাত-সাতটি সন্তান রয়েছে। তাদের মধ্যে তিন মেয়ের ইতিমধ্যেই বিয়ে হয়ে গিয়েছে। এরপরেও তাঁর স্ত্রী এই ঘটনা কীভাবে ঘটালেন তা ভেবেই কূল পাচ্ছেন না। পুলিশে অভিযোগ করে  জানান, স্ত্রীকে ফিরে পেতে চাইছেন তিনি। এর পাশাপাশি পুলিশের কাছে মহেশের গ্রেফতারির দাবিও জানিয়েছেন। অভিযোগের উপর ভিত্তি করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যদিও এখনও অবধি তাঁদের খোঁজ মেলেনি।

কয়েকদিন আগে অনেকটা একই রকম ঘটনার সাক্ষী থাকে মধ্যপ্রদেশের বিদিশা জেলা। সেক্ষেত্রে দেখা গিয়েছিল ছয় সন্তানের মা তাঁর স্বামীর মৃত্যুর এক বছরের মধ্যেই পাশের পাড়ার এক যুবকের সঙ্গে পালিয়ে যান। পলাতক মহিলার ননদ পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। সেখান থেকে জানা যায় কুয়োয় পড়ে মৃত্যু হয় তাঁর দাদার। কিছুদিনের মধ্যেই বীমা কোম্পানি থেকে টাকা পাওয়ার কথা ছিল বৌদির। কিন্তু তার আগেই বাড়ি থেকে যাবতীয় টাকা-পয়সা ও বীমার কাগজপত্র নিয়ে পাশের পাড়ার যুবকের হাত ধরে পালিয়ে যান বৌদি।