শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

ভিনধর্মে প্রেমের ‘শাস্তি’! নিজের মেয়েকেই শ্বাসরোধ করে পুড়িয়ে খুন করল বাবা

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১২, ২০২২, ০৩:৪১ পিএম | আপডেট: সেপ্টেম্বর ১২, ২০২২, ০৯:৪১ পিএম

ভিনধর্মে প্রেমের ‘শাস্তি’! নিজের মেয়েকেই শ্বাসরোধ করে পুড়িয়ে খুন করল বাবা
ভিনধর্মে প্রেমের ‘শাস্তি’! নিজের মেয়েকেই শ্বাসরোধ করে পুড়িয়ে খুন করল বাবা / প্রতীকী ছবি

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ মেয়ে বাড়ির অমতে ভিনধর্মের ছেলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিল। যা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেনি তাঁর বাবা। ভিনধর্মের ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার পরিণতি হল ভয়ঙ্কর। নিজের বাবার হাতেই নির্মমভাবে খুন হতে হল মেয়েকে। এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে। এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। উল্লেখ্য এমনিতেই উত্তরপ্রদেশে একের পর এক দলিত সম্প্রদায়ের মানুষের নিগ্রহের ঘটনা সামনে আসছে। এবার ভিনধর্মের ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের জেরে নিজের মেয়েকে শ্বাসরোধ করে পুড়িয়ে মারল এক ব্যক্তি।

ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের শামলি গ্রামের। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভিন ধর্মের এক যুবকের সঙ্গে বছর ১৮ এর এক তরুণীর দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক ছিল। তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে এই নিয়ে তাঁকে বারবার বারণ করা সত্ত্বেও, তাতে ওই তরুণী বিন্দুমাত্র কর্ণপাত করেননি। এই সম্পর্ককে কেন্দ্র করে আগেও ওই তরুণীর সঙ্গে তাঁর বাবার বিবাদ হয়েছে। উচ্চবর্ণের সম্ভ্রান্ত ঘরের মেয়ে নিম্নবিত্ত এবং ভিনধর্মের এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছে, এটা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেননি তরুণীর বাবা।

এদিন মেয়েটি ওই যুবকের সঙ্গে দেখা করে বাড়ি ফিরলে, তর্কাতর্কি শুরু হয় বাবা-মেয়ের মধ্যে। সেই সময়ই শ্বাসরোধ করে পুড়িয়ে নিজের মেয়েকে খুন করেন প্রমোদ কুমার নামে ওই তরুণীর বাবা। ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশের পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে। জানা গিয়েছে জেরায় ওই ব্যক্তি নিজের মেয়েকে খুনের কথা স্বীকারও করে নিয়েছেন।

পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘প্রমোদ গ্রামের উচ্চবর্ণের সম্ভ্রান্ত পরিবারের। তিনি তাঁর মেয়েকে আগে থেকেই হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন। কারণ, তিনি আগে বারবার মেয়েকে ভিনধর্মের অজয় কাশ্যপের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে বলেছিলেন। মেয়ে তা না মানতেই তাঁকে খুনের পরিকল্পনা করেন তিনি।’

অন্যদিকে, প্রমোদ জানিয়েছেন, কয়েকদিন আগেই তাঁর মেয়ে পরিবারের কাউকে না জানিয়ে ওই যুবকের সঙ্গে বাড়ি থেকে চলে যান। একদিন পর আবার নিজেই বাড়িতে ফিরে আসে। এরপর নিন্দা এবং কলঙ্কের ভয়ে নিজের মেয়েকে খুন করার সিদ্ধান্ত নেন। গত গত ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে কোন কাজের অজুহাতে মেয়েকে মাঠে নিয়ে যান। সে তাঁকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন তিনি এবং মেয়ের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেন।

ঘটনার পর, পুলিশে খবর যেতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঝলসানো কঙ্কাল উদ্ধার করে। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং একটি ডগ স্কোয়াডও ডাকা হয়। পরে, এই ঘটনায় সেদিন সন্ধ্যাতেই জিজ্ঞাসাবাদের পর আটক করা হয় প্রমোদকে।