বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪

২০ বছর পরে কংগ্রেস সভাপতি পদে গান্ধী পরিবারের বাইরের নেতা! লড়াইয়ে খাড়গে বনাম থারুর

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৭, ২০২২, ১২:১৬ পিএম | আপডেট: অক্টোবর ১৭, ২০২২, ০৬:১৬ পিএম

২০ বছর পরে কংগ্রেস সভাপতি পদে গান্ধী পরিবারের বাইরের নেতা! লড়াইয়ে খাড়গে বনাম থারুর
২০ বছর পরে কংগ্রেস সভাপতি পদে গান্ধী পরিবারের বাইরের নেতা! লড়াইয়ে খাড়গে বনাম থারুর

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ দীর্ঘ ২০ বছর পরে কংগ্রেস সভাপতি পদে বসতে চলেছেন গান্ধী পরিবারের বাইরের কোনও কংগ্রেস নেতা! লড়াইয়ে রয়েছে কংগ্রেসের দুই হেভিওয়েট নেতার নাম। আর সভাপতি পদে এই লড়াই হবে খাড়গে বনাম থারুরের। সোমবার দেশজুড়ে চলবে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন। আজ সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৪ টে পর্যন্ত চলবে ভোটদান প্রক্রিয়া। আর এই নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে ১৯ অক্টোবর। কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনে লড়াই মল্লিকার্জুন খাড়গে ও শশী থারুরের মধ্যে হলেও, সকলেই একমত যে, কংগ্রেসের সভাপতি পদে বসতে চলেছেন খাড়গেই।

জানা গিয়েছে, সোমবার দিল্লিতে AICC দপ্তরেই ভোট দেবেন সোনিয়া গান্ধী ও তাঁর কন্যা প্রিয়াঙ্কা। এদিকে, ভারত জোড়ো যাত্রায় ব্যস্ত থাকার কারণে কর্ণাটক থেকেই কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনে নিজের ভোট দেবেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী।

পাশাপাশি জানা গিয়েছে যে, এই যাত্রায় রাহুলের সঙ্গে অংশগ্রহণকারী ৪০ জন কংগ্রেস কর্মীও কর্ণাটক থেকেই ভোট দেবেন। তাছাড়া প্রতিটি রাজ্যে কংগ্রেসের কর্মীরা নিজেদের রাজ্য থেকেই এই নির্বাচনে নিজেদের ভোট দেবেন। এদিকে, বেশ কিছু রাজ্যে কংগ্রেসের ভোটার তালিকায় কিছু গরমিল রয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। তাই এই নিয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরি হওয়ার আশঙ্কাও করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন হলেও, ফলাফল কার্যত সকলেরই জানা। গান্ধী পরিবারের কাছের মানুষ হিসেবে মল্লিকার্জুন খাড়গেই এই দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন। অন্যদিকে, এই পদের আরেক দাবিবার ও প্রতিদ্বন্দ্বী শশী থারুর অভিযোগ করেছেন যে, ভোটের আগে পক্ষপাতিত্ব করেছেন রাজ্য কংগ্রেসের নেতারা। তিনি যখন এই নির্বাচন উপলক্ষে রাজ্যগুলিতে প্রচারের কাজে গিয়েছেন, কেউই সেভাবে তাঁকে সহযোগিতা করেননি। বরং মল্লিকার্জুন খাড়গের প্রচারের সময় তাঁকে সাদরে আপ্যায়ন করেছেন রাজ্য কংগ্রেসের নেতৃবৃন্দ।

আবার কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনে এই পদে মনোনয়ন দেওয়া নিয়েও প্রথমে কম নাটক হয়নি। সূত্রের খবর, এক ব্যক্তি এক পদ নীতি মানতে রাজি ছিলেন না রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। প্রথমে কংগ্রেসের সভাপতি দৌড়ে গান্ধী পরিবারের প্রথম পছন্দ ছিলেন তিনি। কিন্তু মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগে তিনি মুখ্যমন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিতে চাননি। এর জেরে সমস্যা দেখা দেয়। আবার অন্যদিকে, এক ব্যক্তি এক পদ নীতি মেনে তাঁর জায়গায় মুখ্যমন্ত্রী পদে শচিন পাইলটের নাম উঠে এলে গেহলট ঘনিষ্ঠ একদল বিধায়ক বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। এর জেরে রাজস্থানে সরকার পড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। শেষ পর্যন্ত সব ভুলের দায় নিজের উপর নিয়ে সোনিয়া গান্ধীর কাছে ক্ষমা চেয়ে, কংগ্রেসের সভাপতি দৌড় থেকে বেরিয়ে যান অশোক গেহলট। তবে, শেষপর্যন্ত নির্বাচনের ফল যাই হোক, কংগ্রেসের সভাপতি পদে গান্ধী পরিবারের বাইরে যে কংগ্রেস নেতাই বসুন না কেন, দলের রাশ থাকবে গান্ধী পরিবারের হাতেই। এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মধ্যে কোনও দ্বিমত বা সংশয় নেই।